২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার উত্তরপত্র উধাও। ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারী শান্তনু শিট এবং রাহুল চক্রবর্তীর মামলায় মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, সমস্ত রেকর্ড নষ্ট হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, সোমবারই যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে দু’বার নিয়োগ হয়েছিল। একবার ২০১৬ ও দ্বিতীয়বার ২০২০ সালে। প্রথম ধাপে ৪২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে জানা যায় ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদ রয়েছে। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর জানা যায় আরও ৩৯২৯ টি শূন্যপদ রয়েছে। শূন্যপদ থাকতেও চাকরি দেওয়া হয়নি কেন? এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।
অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে মঙ্গলবার রাত ৮ টার মধ্যে সিবিআই অফিসে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ওএমআর শিট নষ্ট করার অভিযোগের কোন সদুত্তর পর্ষদ দিতে না পারায় মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই মামলায় জেরা করতেই মানিককে সিবিআই দফতরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, তদন্তে অসহযোগিতা করলে মানিককে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। এক মাসের মধ্যে অর্থাৎ ১ নভেম্বর সেই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।