রাজ্য

দামের ছ্যাঁকায় ভাইফোঁটা শিকেয়

ভাইকে বাড়িতে দোকানের তৈরি মাটন বিরিয়ানি আর চিকেন চাপ খাওয়াবেন বলে যাঁরা ঠিক করেছিলেন তাঁদের মাথায় হাত। কারণ সেগুলির দাম বেড়ে গিয়েছে।। মাছ–মাংস–সবজির দামও আকাশছোঁয়া। আর মিষ্টি। তার দামও লাগামছাড়া। সবজি থেকে মাছ–মাংস, এবার ভাইফোঁটায় দামেই দমে গিয়েছেন বাঙালি। এবার সকলে মিলে মেনু অর্ধেক করে নিয়েছেন।
করোনার কারণে অনেকেই রোজগার হারিয়েছেন। কারণ বেতন কমে অর্ধেক। কিন্তু ক্যালেন্ডারে ভাইফোঁটার দিন তো বদলায়নি। এই পরিস্থিতিতে বাজেট কাটছাট করে নিয়েছেন অনেকেই। কসবার বিখ্যাত খাসির মাংসের দোকানি রহমত গাজী বলেন, গতবারও ভাইফোটাঁর সময়ে প্রায় ৭০০ খাসি কেটেছি। এবার সব মিলিয়ে কেটেছি মাত্র ৬৭টা। সোমবার হাল বদলে যাবে কী করে আশা করি!
আলু-পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে কালীপুজোর আগে বাজারে অভিযান চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। দুটি সবজির দামই কমতে শুরু করেছিল। অভিযানের আগে সাধারণ আলু ছিল ৪০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ হয়েছিল ৮০–৯০ টাকা। কিন্তু ভাইফোঁটার আগের দিন শহরের কোনও কোনও বাজারে আলু ৫০ টাকা ছুঁয়েছে। পেঁয়াজও ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। সবজি ধরাছোঁয়ার বাইরে।
রবিবার ছুটির দিন হলেও, বাজার, দোকানে ভিড় জমবে বলে আশা করে ছিলেন শহরের বিভিন্ন বাজারের দোকানিরা। কিন্তু রবিবারের চেনা ভিড় ছিল না কোনও বাজারেই। কেক, পাস্ট্রি, চকলেটের দামও হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। করোনা, লকডাউন এসব তো আছেই, তার উপর দুর্গাপুজো, লক্ষ্ণীপুজো, কালীপুজো সামলে মাসের মাঝামাঝিতেই অনেকের হাতখালি। তাই উৎসবের সময়ও ৫০০ টাকা কেজি পাবদা বেচতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গড়িয়াহাট বাজারের মাছ বিক্রেতার কথায়, বাজারে তো কেনাকাটার লোকই ছিল না। ভাই ফোটার আগের দিন সব মিলিয়ে ৩৫০০ টাকার মাছ বেঁচেছি। এই তো অবস্থা। ইলিশের দেখা মেলেনি। গলদা ৭০০–৭৫০ টাকা, ভেটকি ৬০০–৬৫০ টাকা, পমফ্রেট ৫০০–৬৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।