রাজ্য

সবজি–মাছের দামে নাভিশ্বাস

বেড়েই চলেছে পেট্রোপণ্যের দাম। এই রাজ্যেও সেঞ্চুরি করে ফেলেছে পেট্রোল। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডিজেলের দামও। আর এই জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জেরেই অগ্নিমূল্য সবজি–মাছের বাজার। উচ্ছে হোক বা পেঁপে কিংবা পটল দাম বেড়েছে প্রতিটি সবজির। এমনকী বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দামও। তাই সব মিলিয়ে মাসের প্রথমেই পকেটের টান পড়ছে মধ্যবিত্ত। আর করোনার জেরে লকডাউনে দিন কাটানো মানুষের এককথায় মাথায় হাত।
গড়িয়াহাট বাজারে গড়ে সব সবজির দাম বেড়েছে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ টাকায়, লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ টাকায়। উচ্ছের দাম ৮০ টাকা/ কেজি। সবজি বিক্রেতারা স্বীকার করেই নিচ্ছেন, খুচরা বাজারে প্রতিটি সবজির দামে গড়ে দশ থেকে কুড়ি টাকা করে বেড়েছে। ইয়াস ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর থেকেই দাম বেড়েছে বলে দাবি বিক্রেতার। সবজির ক্ষেতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ার দরুন জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরাসরি খুচরো বাজারে সবজি নিয়ে আসা দীর্ঘদিন সমস্যাজনক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ঘুরপথে বাজারে সবজি পৌঁছে দিতে অনেক বেশি দর হাঁকছিলেন মহাজনরা। এর মধ্যেই লঙ্কার দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকা বেড়ে যেতে পারে। লঙ্কা কিনতে হবে কেজি প্রতি অন্তত ১৫০ টাকায়। বাড়বে অন্যান্য সবজির দামও।
আবার ডিজেলের দাম বিপাকে ফেলেছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের। মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও অনেকেই গভীর সমুদ্রে ইলিশ অন্যান্য মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। কারণ একটি ট্রিপের জন্য যে পরিমাণ খরচ হয়, সেই ঝুঁকি নেওয়ার পর মাছ না পাওয়া গেলে সংসার চলবে না ছোট মৎস্যজীবীদের। তাই বহু ট্রলারই বসে রয়েছে। বাজারে এখনও দেখা নেই রূপোলি শস্যের।