বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। বেলা সাড়ে ১১টা নগাদ সস্ত্রীক রাষ্ট্রপতি ভবনে যান রাজ্যপাল। দু’দিনের দিল্লি সফরে আজ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার।
দিল্লি যাওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। তারপর কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে লক্ষ্যণীয়ভাবে বুধবার দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরও সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে কিছুই বলতে চাননি রাজ্যপাল।
রাজ্যের নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিরোধীদের বিস্তর অভিযোগ। ৫১ জন বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়ান জগদীপ ধনকারও। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, দেশের প্রথম নাগরিকের সঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েই কথা বলেন জগদীপ ধনকার। আর যদি তেমনটা হয়, তবে রাজ্য–রাজভবন সংঘাত আরও বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। তবে এখনও সময় পাননি তিনি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে এখনও সময় দেননি। ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ধনকার আদৌ বৈঠক করতে পারবেন কিনা, তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে। মন্ত্রিসভা চলায় ব্যস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যাওয়ার আগে অবশ্য ফের একবার পত্রবোমা ছুড়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে।
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণকুমার মিশ্রের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি৷ কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার৷ কেন্দ্রীয় কয়লা ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর সঙ্গেও বৈঠক করেন রাজ্যপাল৷ আগামী তিন দিন দিল্লির দিকে তাকিয়ে থাকবে কলকাতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজ্যপালের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর বঙ্গ রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নির্ভর করছে।