এক সময় নরেন্দ্র মোদীর হয়ে কাজ করেছিলেন। তারপর সম্পর্কের টানাপোড়েনে ছেদ ঘটে ও তারপর নীতীশের পালে হাওয়া দেন। সে সম্পর্কও শেষ পর্যন্ত মধুর হয়নি। তখন জগনের তরি ভাসানোর দায়িত্ব নেন। এখন তিনি পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল আর তামিলনাড়ুতে ডিএমকের ঠিকাদার হয়ে কাজ করছেন বলে পদ্মশিবিরের দাবি। হ্যাঁ, তিনি ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর। এবার কংগ্রেসকে সরাসরি না করে দিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। কংগ্রেসের সঙ্গে তিনি কাজ করতে চান না।
যদিও এই সিদ্দান্তের পেছনে দু’টি কারণ দেখিয়েছেন পিকে। প্রথমত, তিনি ব্যস্ত। আর দ্বিতীয়ত, কংগ্রেসের হয়ে কাজ আর তিনি করতে চান না। ২০২২ সালে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে চুক্তি করতে চাইছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং নিজে একাধিকবার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু আপাতত সেই আমন্ত্রণ তিনি রক্ষা করতে পারছেন না বলেই জানিয়েছেন।
এখানেই শেষ নয়। মধ্যপ্রদেশের ২৪টি আসনে যে বিধানসভা উপনির্বাচন হবে, তার জন্যও প্রশান্তের কাছে আবেদন করেছিলেন কমল নাথ। কিন্তু কমল নাথকেও খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছেন পিকে। সূত্রের খবর, এই কাজ করতে পেছন থেকে বুদ্ধি দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই মতোই প্রশান্তের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চেয়েছিলেন তাঁরা। যদিও বাস্তবে তা হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ভারতীয় রাজনীতিতে ভোটকুশলীর নতুন ধারণাকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে পিকে’র সাফল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাঁর চাহিদাও। ইতিমধ্যেই বাংলা এবং তামিলনাড়ুর মতো দুই বড় রাজ্যের ভোট রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায় নিয়েছেন পিকে। ২০২১ সালের নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এবং তামিলনাড়ুতে বিরোধীদল ডিএমকের প্রচারের কৌশল তৈরির দায়িত্ব রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের ঘাড়েই।
