সরকারি আশ্বাসেও লাগাম টানা গেল না আলুর দামে। বরং এখন আলুতে হাত দিলে ছ্যাঁকা লাগছে বলে অভিযোগ আম–জনতার। ইএম বাইপাস থেকে বিরাটি— প্রায় সর্বত্রই কিলোপ্রতি ৩০ টাকা দরে আলু কিনতে বাধ্য হচ্ছেন মধ্যবিত্ত। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবার রাত থেকেই ২৩ টাকা কেজি পাইকারি দরে কোলে মার্কেটের মতো বাজারগুলিতে আলু ঢুকবে। ২৫ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে পারবেন মানুষ। কিন্তু সেসব কিছুই দেখা গেল না। বরং বুধবারও আলু কিনতে গিয়ে দামের ছেঁকায় অস্থির হয়েছেন মানুষ। দোকানিদের অবশ্য যুক্তি, তাঁরা নিজেরাই পাইকারদের কাছ থেকে গড়ে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু কিনছেন।
এদিকে নবান্নে কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার আশ্বাস দিয়েছেন, দর পড়তে দু’চার দিন সময় লাগবে। তাঁর দাবি, আজই প্রথম কোলে মার্কেটে সাড়ে ২৩ টাকা কিলো পাইকারি দরে আমরা আলু পাঠিয়েছি। যা মানুষ খুচরো বিক্রেতাদের কাছে ২৫ টাকা দরে পেয়েছেন। প্রথম দিনেই তো রাতারাতি দামে রদবদল হবে না। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তাহলে মানুষকে ৩০ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে হচ্ছে কেন? কোথায় গেল মুখ্যমন্ত্রীর সেই তথাকথিত টাস্ক ফোর্স বা বাজার সরকার?
খুচরো বিক্রেতাদের সংগঠন ফোরাম অফ ট্রেডারস অর্গানাইজেশনের সভাপতি এবং খাদ্য বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলের কথায়, কোলে মার্কেট ছাড়াও আলুর বড় বাজার রয়েছে শ্যামবাজার, উল্টোডাঙা বা গড়িয়াতে। কোলে মার্কেটে আলু ঢুকলেও অন্যগুলিতে আলু ঢুকেছে বলে খবর নেই। ওই সব বাজারে আবার সরাসরি হিমঘর থেকে পাইকারি হারে আলু আসে। ফলে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি তত্ত্বাবধানে আলু পৌঁছলে দামটা দিন কয়েকের মধ্যে পড়বে বলে আশা করা যায়।
