বাংলায় ভোট–পরবর্তী হিংসা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা হয়েছে আগেই। এবার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিন মহিলা। কারঁ তাঁরা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ এনে আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন। প্রধান বিচারপতি এনভি রামণের বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে স্পেশাল ইনভে্টিগেশন টিম বা ‘সিট’ গঠন করার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। সর্বোচ্চ আদালতে সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে।
তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদন করেছেন বিশ্বজিৎ সরকার। অভিযোগ, হিংসা ও ধর্ষণের মতো ঘটনায় কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য পুলিশ ও রাজ্য সরকার। গুজরাটে গোধরা–পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনে। এবারও একইভাবে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। যেভাবে গোধরা–পরবর্তী হিংসায় হয়েছিল।
এক ৬০ বছর বয়সী প্রৌঢ়া আবেদনে জানিয়েছেন, ৬ বছরের নাতির সামনে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁর বৌমাকেও মারধর করে অভিযুক্তরা। ঘটনা ৩ মে অর্থাৎ ভোটের ফল প্রকাশের পরের দিনের। আবেদনে বলা হয়েছে, ‘ওই মহিলার বাড়ি ঘিরে ফেলেন ১০০-২০০ জন লোক। এর মধ্যে ছিল তৃণমূল সমর্থকেরাও। পরিবারকে ঘর ছাড়তে বলা হয়। নির্যাতিতার বৌমাকে নৃশংসভাবে মারধর করা হয়।’
আর এক কিশোরীর অভিযোগ, চারজন মিলে তাঁকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্যই তাঁকে এই ঘটনার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁকে এফআইআর তুলে নিতে চাপ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগে জানিয়েছেন ওই মহিলা। দ্বিতীয় আবেদনকারী এক ১৭ বছরের কিশোরী। অভিযোগ জানিয়েছেন এক ১৯ বছরের যুবতীও।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার অন্য একটি মামলায় রাজ্যকে নোটিশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। হিংসার ঘটনায় ‘সিট’ গঠন করে তদন্তের আর্জি জানিয়ে ওই মামলা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। আর সেই মামলায় আজ, মঙ্গলবার রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়কেই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।