পোস্ট অফিসে কোনও সঞ্চয় প্রকল্প চালু করার সময় গ্রাহককে একটি অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ফর্ম পূরণ করতে হয়। সেই সঞ্চয় প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হলে বা নির্দিষ্ট সময়ের আগে টাকা তুলে নিতে হলে ওই ফর্মটির প্রয়োজন হয়। কিন্তু দেখা যায়, পোস্ট অফিস সেই ফর্মটি আর খুঁজে পায় না। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় গ্রাহকদের। তাই গত বছর একটি নতুন নিয়ম আনে ডাক বিভাগ। তারা বলে, যদি অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্মটি খুঁজে না পাওয়া যায়, তাহলে গ্রাহককে ম্যাচুরিটি বা প্রি-ম্যাচুরিটির টাকা তোলার সময় ফের ওই অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ফর্ম পূরণ করতে হবে। জমা করতে হবে কেওয়াইসি। তবেই মিলবে টাকা। এই নিয়মের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রাহক ও এজেন্টরা।
ডাক বিভাগের গাফিলতি গ্রাহকদের ঘাড়ে চাপানো হবে কেন? তা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দেয়। তার জেরে সম্প্রতি তারা নির্দেশ দিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে নতুন করে গ্রাহককে দিয়ে আর ফর্ম পূরণ করানোর দরকার নেই। এক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ফর্মটিতেই ডাক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পদাধিকারীরা লিখে দেবেন, পুরনো ফর্মটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি সেই লেখার নীচে সই করবেন। অভিযোগ, এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হওয়ার পরও বহু পোস্ট অফিস সেই নিয়ম মানছে না। তারা জোর করে ফর্ম পূরণ এবং কেওয়াইসি জমা নিচ্ছে গ্রাহকের থেকে। এই নিয়ে সরব হলেন ডাক বিভাগের এজেন্টরা।
ডাক বিভাগ সূত্রে খবর, সমস্যা আরও আছে। এখন নিয়ম হল, পোস্ট অফিসে দু’জনের নামে একটা সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। অথচ একটি মান্থলি ইনকাম স্কিমের অ্যাকাউন্ট চালু করা যাবে তিন জনের নামে। বহু ক্ষেত্রে বাড়িতে প্রবীণ বাবা–মা ও তাঁদের সন্তানের নামে মান্থলি ইনকাম স্কিম খোলা হয়। তার সুদ মাসে মাসে তোলেন সন্তান। কিন্তু সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে তিন জনের নাম না থাকায়, সেই টাকা আর সন্তান তুলতে পারবেন না।