সরাসরি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠল কারচুপির অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে গণধর্ষণে মৃত দলিত তরুণীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্ট বলছে, নিগৃহীতা মৃত তরুণীর শিরদাঁড়ার হাড় ভাঙা ছিল। তাঁকে যে শ্বাসরোধের চেষ্টা করা হয়েছে তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে ময়নাতদন্তের সময়। কিন্তু চিকিৎসকরা কোথাও উল্লেখ করেননি, দলিত মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। ময়নাতদন্তের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক ছড়াতে শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ১৯ বছর বয়সী দলিত মেয়ের ধর্ষণের ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতার দেহ চুপিসারে দাহ করেছে পুলিশ। এই রিপোর্ট তলে তলে তৈরি করা হবে বলেই এমন কাজ করা হয়েছিল।
নৃশংস গণধর্ষণের পরও অভিযোগ দায়েরের সময় কোনওরকম সহযোগিতা না করার অভিযোগ উঠেছিল যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও মৃতার পরিবারের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদের ছবি ধরা পড়ে। মেয়েটির শেষকৃত্যের পর অসহায়ভাবে কাঁদতে দেখা গিয়েছে তাঁর মাকে। পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মৃতার আত্মীয়রা।
রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করা হয় ওই তরুণীকে। ধস্তাধস্তির সময় তাঁর জিভের একাধিক জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়। দুটি পা এবং একটি হাতে কোনও সাড় ছিল না বলেও জানান চিকিৎসকরা। মৃত্যুর আগে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া বয়ানে ধর্ষকদের নামও বলে গিয়েছেন সেই তরুণী। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও উল্লেখই নেই। গত কয়েক মাসে উত্তরপ্রদেশে একের পর এক মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা ঘটে চলায়, দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নিগৃহীতার পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে তাদের কোনও সাহায্যই করেনি পুলিশ। পরে জনরোষের চাপে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। মৃত্যুর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনও জায়গায় ধর্ষণের কথা লেখা নেই। এমনকী যৌনাঙ্গে কোনও ক্ষতের উল্লেখ নেই। লেখা রয়েছে, ষৌনাঙ্গে রক্তের প্রমাণ মিলেছে। তবে সেটি ঋতুস্রাবের জন্য রক্তক্ষরণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।