করোনায় প্রয়াত হয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ। আর কবির প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলার সাহিত্যজগতে। তাই শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, ভারতীয় সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন শঙ্খ ঘোষ। তাঁর প্রয়াণে দুঃখিত। আমার সমবেদনা রইল। ওঁম শান্তি।
বালুরঘাটের সভায় কবির পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। শোকবার্তায় মমতা জানান, বিশিষ্ট কবি, সাহিত্য সমালোচক ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় নিজ বাসভবনে প্রয়াত হন। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। শঙ্খবাবু যাদবপুর, দিল্লি এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপনা করেছেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ বাবরের প্রার্থনা, মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে, ওকাম্পোর রবীন্দ্রনাথ, ধূম লেগেছে হৃদকমলে, এ আমির আবরণ। জ্ঞানপীঠ, পদ্মভূষণ, দেশিকোত্তম, সাহিত্য অ্যাকাডেমি, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার–সহ অজস্র সম্মানে তিনি ভূষিত হয়েছেন। শঙ্খবাবুর সঙ্গে আমার অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। আমি প্রয়াত শঙ্খ ঘোষের আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
টুইট করে শোকজ্ঞাপন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। তিনি লেখেন, বর্ষীয়ান কবি তথা সাহিত্য অ্যাকাডেমি ও পদ্মভূষণ বিজয়ী শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে গভীরভাবে দুঃখিত। বাংলা সাহিত্যে অপূরণীয় ক্ষতি। ওঁনার আত্মা শান্তি কামনা করি। টুইট করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লেখেন, বিখ্যাত বাংলা কবি ও সাহিত্য অ্যাকাডেমি বিজয়ী শ্রী শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে দুঃখিত। সমাজের সমকালীন পরিস্থিতিতে তাঁর কবিতার জন্য সবাই তাঁকে মনে রাখবে। আমার গভীর সান্তনা ওঁর পরিবার ও অনুগামীদের প্রতি। ওঁম শান্তি।
ফিরহাদ হাকিম শোকজ্ঞাপন করে বলেন, ‘বাঙালি বলতে যাদের নিয়ে গর্ববোধ করি তাঁদের মধ্যে অন্যতম শঙ্খ ঘোষ। সবচেয়ে খারাপ লাগার যেটি, কোভিডের মধ্যে চলে গেলেন। উল্লেখ্য, পরিবারের কথা মতো গান স্যালুট বাদ দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। নিমতলা শ্মশানে নীরবে হবে শেষকৃত্য।