আবার সামনে নির্বাচন। আর তার আগে জড়িয়ে যেতে চলেছে একাধিক প্রভাবশালী নেতা–মন্ত্রী–আমলার নাম। বুধবার রাতেই উঠে আসে বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের নাম। এবার গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে ১২ জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন কাস্টমস অফিসার, ৪জন বিএসএফ। এছাড়াও ২জন রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার জানা গেল, গোটা দুর্নীতির পেছনে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জড়িয়ে রয়েছে। গরু–পাচারের মোড়কে অস্ত্র–কারবার কপালে ভাঁজ ফেলেছে গোয়েন্দাদের। কারণ এখানে জঙ্গিরাও জড়িয়ে আছে।
এই বিরাট চক্রের হাত ধরেই বাংলায় জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে। তাহলে কী আরও বড় বড় মাথারা জড়িয়ে? তাঁরা কারা? জানাতে চাননি গোয়েন্দারা। তবে তাঁদের হাতে উঠে এসেছে একাধিক প্রভাবশালীর নাম। তাই গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে এবার এনআইএ’র পাশাপাশি রাজ্যে তৎপরতা শুরু করল সিবিআই। এদিন রাজ্যজুড়ে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। কলকাতাতেও একাধিক জায়গায় তল্লাশি করেছেন তদন্তকারীরা। বোঝা যাচ্ছে, ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে এই প্রভাবশালীরা জঙ্গিদের লালনপালন করছে। যা বড় হামলার কারণ হতে পারে।
সিবিআই সূত্রে খবর, বিধানসভা নির্বাচনের আগে গরুপাচার তদন্তকে কেন্দ্র করে একাধিক রাজনৈতিক নেতা, সরকারি আমলাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। দুর্গাপুজোর আগে প্রকাশ্যে আসতে পারে বড় বড় নাম। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাঁদের প্রভাবে আর কোথায় জঙ্গি ঢুকে পড়েছে? মুর্শিদাবাদ থেকে আল–কায়দা জঙ্গিরা ধরা পড়ার পর এই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। পুজোয় কী এই রাজ্যে বড় নাশকতা হতে পারে? জেএমবি জঙ্গিরা এভাবেই কী এখানে পাড়ি দিয়েছে? পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা কী বাংলাদেশকে সেফ করিডর করে ভারতে ঢুকছে? এই সব প্রশ্ন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।