দেশ লিড নিউজ

রাজস্থানে রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কায় কংগ্রেস

কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশের পর এবার কী রাজস্থানে অভ্যুত্থান? জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উত্তাপহীন রাজ্যসভার ভোটের আগে এমন আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নিজেদের বিধায়কদের একটি রিসর্টে সরিয়ে এনেছে কংগ্রেস। সংসদের উচ্চকক্ষের ভোটের আগে রাজস্থানে তাদের সরকার ফেলার চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে হইচই শুরু করেছে কংগ্রেস।
রাজ্যসভার ভোটের আগে দলীয় বিধায়কদের নিরাপদে রাখতে রাজস্থানেরই একটি রিসর্টে এনে রেখেছে গুজরাত কংগ্রেস। এবার সেই রাজ্যেই সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করতে শুরু করেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। ফলে জাতীয় রাজনীতিতে আবার কোনও টার্নিং পয়েন্ট দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শিবির বদলের জন্য তাদের দলের বিধায়কদের অর্থ এবং পদের টোপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল। সরাসরি কিছু না বলা হলেও অভিযোগের তীর স্বভাবতই মূল প্রতিপক্ষ বিজেপি’‌র দিকে। গেরুয়া শিবির সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আগামী ১৯ জুন রাজ্যসভায় রাজস্থানের রাজ্যসভা আসনগুলির মধ্যে তিনটিতে ভোট নেওয়া হবে। তার মধ্যে বিধানসভায় আসন সংখ্যার নিরিখে দু’টি আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। অপর আসন বিজেপি’‌র ঝুলিতে যাবে। এমন একটি নিশ্চিত ফলাফলের ভোটের আগেও নিশ্চিন্তে বসে থাকতে পারছেন না কংগ্রেসের নেতারা। কারণ দলের সমস্ত বিধায়ক শেষ পর্যন্ত কতটা অনুগত থাকবেন তা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। রাজস্থানে বর্তমানে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০৭ জন। তার মধ্যে ৬ জন গত বছর মায়াবতীর বিএসপি ছেড়ে হাত ধরেছিলেন। আর ১২ জন নির্দল বিধায়ক রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন করছেন। বিজেপি’‌র বিধায়ক সংখ্যা ৭২। সহযোগী ও নির্দল মিলিয়ে আরও ৬ জন পদ্ম শিবিরে আছেন।
পরিস্থিতি ঘোরালো বুঝতে পেরে রাজস্থানে ছুটে গিয়েছেন রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং কেসি বেণুগোপালের মতো শীর্ষ নেতা। রিসর্টে গিয়ে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক তাঁরা করেছেন বলে সূত্রের খবর। আর দুর্নীতির অভিযোগ করে রাজ্যের দুর্নীতি–বিরোধী ব্যুরোর প্রধানকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক মহেশ যোশী। গত মার্চ মাসেই কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। গত বছর জুলাই মাসে কর্নাটকের ক্ষমতা দখল করে গেরুয়া শিবির। তাই রাজস্থান নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে কংগ্রেস।