ল্যানসেট এবং নেচার পত্রিকার পর এবার ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সমাবেশকে দায়ী করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তাঁরা বলছে, ভারতের এমন পরিস্থিতির কারণ খতিয়ে দেখতে গিয়ে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধির অনেকগুলি কারণের মধ্যে অন্যতম হল বড় রাজনৈতিক জনসভা এবং ধর্মীয় জমায়েত।
করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের পর দেশে নিম্নমুখী হয়েছিল করোনা গ্রাফ। তখন চিকিৎসক–বিশেষজ্ঞরা বারবার অনুরোধ করেছিলেন করোনাবিধি মেনে চলার জন্য। কারণ তাঁরা জানতেন দ্বিতীয় ঢেউ আসছে। তবু কুম্ভমেলার মতো বিপুল জমায়েত হয়েছে। তিন রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। সেখানে বড় বড় রাজনৈতিক সমাবেশ হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে উত্তরপ্রদেশেও। লাগাতার নেতা–নেত্রীরা বড় বড় রোড শো, সভা করছেন। আর সেখানে ঠাসাঠাসি ভিড় করেছেন অনুগামীরা। সেই সুযোগেই লাফিয়ে বেড়েছে করোনা।
খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একের পর এক বড় জনসভা করেছেন। একই দোষে দুষ্ট বিরোধী শিবিরও। শুধু রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কুম্ভমেলার মতো ‘সুপার স্প্রেডার’ ধর্মীয় সমাবেশ হয়েছে। বহু পুজো–অর্চনা এবং অন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জমায়েতের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এগুলিকেই দেশে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহ আকার নেওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করল হু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা বৃদ্ধির আসল ফ্যাক্টরগুলি এখনও বোঝা যায়নি। করোনা বৃদ্ধিতে ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন বি.১.৬১৭–এরও ভূমিকা থাকতে পারে বলে মনে করছে হু। আগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য এককভাবে দায়ী করেছিল নির্বাচন কমিশনকে। কলকাতা হাইকোর্টও করোনা সংক্রান্ত নিয়ম বিধিতে সঠিক পদক্ষেপ না করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছিল।