রাজ্য লিড নিউজ

রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে দুষ্কৃতীদের স্কেচ আঁকছে পুলিশ, আতস কাঁচের নিচে আব্দুল লতিফের ভূমিকা

রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে দুষ্কৃতীদের স্কেচ তৈরি করছেন তদন্তকারীরা। ব্রতীনের কাছ থেকে দুষ্কৃতীদের বিবরণ নিচ্ছে পুলিশ। ব্রতীনের বিবরণ শুনে দুষ্কৃতীদের স্কেচ আঁকবে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে শক্তিগড় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শক্তিগড় শুটআউটে ব্রতীনের হাতে গুলি লাগে।

রাজু ঝা খুনের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতেই দেখা যায় গরু পাচারকারীদের অন্যতম কিংপিন আব্দুল লতিফকে। যে গাড়িতে রাজু ঝা খুন হন সেই সাদা গাড়ির সামনে ফোনে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল সাদা জামা-নীল প্যান্ট পরিহিত এক ব্যক্তিকে। ওই ব্যক্তিই আব্দুল লতিফ বলে দাবি। যে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ। রাজু ঝা খুনে লতিফের ভূমিকা এখন আতস কাঁচের নিচে। ঘটনার পর থেকে কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। তবে কি পরিকল্পনা করে খুন?

জানা গিয়েছে, সেদিন লতিফ এবং ব্রতীন দুজনেই গাড়ি থেকে নেমে রাজু ঝা’য়ের ফরচুন হোটেলে ঢুকে যান। এরপর সন্ধেয় লতিফ-ব্রতীনের পাশাপাশি গাড়িতে উঠে পড়েন রাজু ঝাও। সন্ধে ৬.১০ নাগাদ ওই দিন তাঁরা কলকাতার দিকে রওনা দেয়। শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে রাজু ঝায়ের কথামতোই সন্ধে ৭-৩৫ নাগাদ গাড়ি দাঁড় করায়। ওখানে রাজু ছাড়া সকলেই গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন লতিফের গাড়িচালক। সকলেই ঝালমুড়ি কিনে ফের গাড়িতে উঠে পড়ে। এরপর ব্রতীন মুখোপাধ্যায় নূর হোসেনকে গুটখা কিনতে বলায় গাড়ি থেকে নেমে পড়েন তিনি। এরপর ঘটে যায় সেই ভয়াবহ ঘটনা।