অপহৃত শিশু কন্যাকে আট ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করল বসিরহাট পুলিশ। বসিরহাটের মাটিয়া থানা খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রামের ঘটনা। গত তিনমাস আগে মুর্শিদাবাদ সাগরদিঘী এলাকা থেকে এক দম্পতি তাদের আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে কর্মসূত্রে বসিরহাটের মথুরাপুর গ্রামে আসে।
সাগরদিঘী থানা এলাকার পূর্ব পরিচিত মাছ ব্যবসায়ী মইদুল সেখের এই ফেরিওয়ালা পরিবারের আলাপ ছিল। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী থানা এলাকায় একই জায়গায় বসবাস করে এই দুই পরিবার। মঙ্গলবার সকালে বসিরহাটের মথুরাপুর গ্রামে আসে মইদুল,সেই সময় বাড়িতে ছিলেন সোমা বিবি তার শিশুকন্যা। রেজাউল বাড়ি না থাকার সুযোগে, তার আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে চকলেট খাওয়ার নাম করে অপহরণ করে মইদুল।
তারপর ওই শিশুর মাকে মইদুল মুক্তিপণ চেয়ে ফোনে হুমকি দেয়, সাড়ে চার লাখ টাকা দাবি করে। এমনকি পুলিশকে জানালে খুন করে মৃতদেহ প্যাকিং করে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয় মইদুল। এরপর পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই শিশুর মা-বাবা। নড়েচড়ে বসে বসিরহাট পুলিশ। অপহরণকারীর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানা যায় তার গন্তব্য ঠিকানা মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী থানা এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি শুরু করে। এই দল অপহরণকারী মইদুল ও শিশুকন্যা যেখানে ছিল সেই এলাকা ঘিরে ফেলে। পুলিশকে দেখে ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত শিশু কন্যাকে ফেলে রেখে মইদুল পালিয়ে যায়, পুলিশ শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে বিনা মুক্তিপণে এবং জীবিত অবস্থায়। পুলিশের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ওই শিশুকন্যাকে জীবিত উদ্ধার করে তার বাবা ও মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া।