রাজ্য

জোড়া আত্মহত্যা রুখল কলকাতা পুলিশ

রাত একটা। এক তরুণের ফেসবুকে লাইভ ভিডিও পোস্ট, হাত কেটে আত্মহত্যা করতে চলেছেন। এক তরুণীও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করতে চলেছিলেন। একই রাতের ঘটনা। ফেসবুক এবং কলকাতায় পুলিশের সক্রিয়তায় প্রাণ বাঁচানো গিয়েছে ওই তরুণ–তরুণীর। এই জোড়া আত্মহত্যার চেষ্টা রুখে দেওয়া গেলেও গত কয়েক মাসে শহরে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে আত্মহত্যা।
পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ১১০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। জুন মাসেই শহরে ৭০টি আত্মহত্যা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১০ বছরের এক কিশোর। রয়েছেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধও। ২০১৯ সালে সংখ্যাটা ছিল ৫৫। ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাসে আত্মহত্যা হয় ৪৯টি। আত্মহত্যার নেপথ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে লকডাউনের জেরে আর্থিক সমস্যার মতো কারণ উঠে এসেছে। আবার সামনে এসেছে মানসিক অবসাদও। খবর পেয়ে ১৩টি আত্মহত্যার চেষ্টা আটকেছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত একটা নাগাদ ফেসবুকের পক্ষ থেকে এক উইজারের তথ্য দিয়ে কলকাতা পুলিশকে ইমেল করে জানানো হয়, ওই ইউজার আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। সেই তথ্য পেয়েই তদন্তকারীরা ওই ফেসবুক আইডি’‌র সূত্র ধরে জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি পর্ণশ্রীর থানা এলাকার বাসিন্দা। পর্ণশ্রী থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছে আত্মহত্যা রুখে দেয়। ওই বাড়িতে পৌঁছে পুলিশ দেখেন হাত কেটে ফেলেছেন ২২ বছরের ওই তরুণ। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ঘরে। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই তরুণ।
ওই দিনই ভোর পৌনে চারটে নাগাদ হাওড়া বাসিন্দা শীর্ষেন্দু ত্রিবেদী কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে পুলিশকে জানান, ইনস্টাগ্রামে এক ইউজার আত্মহত্যা করতে চলেছেন। ইনস্টাগ্রাম থেকে তদন্তকারীরা জানতে পারেন সেটি ১৮ বছরের এক তরুণীর অ্যাকাউন্ট। তিনি নেতাজি নগরের লোটাস পার্কের বাসিন্দা। নেতাজি নগর থানার পুলিশ মহিলা অফিসারদের নিয়ে সেখানে পৌঁছন। দুই বোন ও মায়ের সঙ্গে ওই বাড়িতে থাকেন তরুণী। সদ্য উচ্চ–মাধ্যমিক পাশ করেছেন। পুলিশকে ওই তরুণী জানান, তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। তাতে তাঁর কয়েকজন বন্ধু নেতিবাচক কমেন্ট করেন। তার জেরেই তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।