জেলা

এবার পুলিশের জালে ভুয়ো সেনাকর্মী

ভুয়ো আইএএস অফিসার, ভুয়ো সিআইডি আধিকারিকের পর এবার ভুয়ো ভারতীয় সেনা কর্মীর খোঁজ মিললো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ‘ভুয়ো সেনাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুত্রের খবর অভিজিৎ কর নামের বছর ১৭ ওই যুবক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। ভারতীয় সেনাবাহিনীর নামে নকল পরিচয়পত্র তৈরি করে বন্ধু-বান্ধবদেরকে দেখানোর পাশাপাশি প্রেমিকার চোখেও নিজেকে সেনাবাহিনীর জওয়ান বলে খ্যাতি অর্জনের চেষ্টা করতো সে। আবার বন্ধুর দাদা সৌরভ সাহা’র নামেও ঠিক একই ধরনের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে দেয় ধৃত যুবক।

 

সেনাবাহিনীর অফিসে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা লাগবে বলে বন্ধুর দাদা সৌরভের কাছ থেকে ওই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে।  সৌরভের সন্দেহ হলে সে বিষয়টি বিষ্ণুপুর থানায় জানায় । নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে অভিজিৎ কর নামে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রটিকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি নকল পরিচয় পত্র বানাতে সাহায্য করার জন্য প্রসেনজীৎ মিস্ত্রী নামের এক ষ্টুডিও মালিককেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওই স্কুলপড়ুয়ার কাছ থেকে সেনাবাহিনীর দুটি নকল পরিচয় পত্র, সেনাবাহিনীর একটি পোশাক এবং আর্মি স্টিকার লাগানো একটি বাইক উদ্ধার করে পুলিশ। সৌরভ সাহার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯,৪৬৮,৪৭১ ও ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সেনহাটি কলোনির ওই যুবক বছর খানেক আগে বন্ধুদের কাছে জানায় সে সেনাবাহিনীতে নতুন চাকরি পেয়েছে । সোশ্যাল সাইটে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে একাধিক ছবিও পোস্ট করে নিজের প্রোফাইলে। তিনি যে সত্য সেনাবাহিনীতে চাকুরি পেয়েছে একথা অপরকে বিশ্বাস করানোর জন্য বিষ্ণুপুরের স্টেশন রোডের একটি স্টুডিওতে গিয়ে সেখান থেকে সেনাবাহিনীর একটি নকল পরিচয় পত্র তৈরি করিয়ে সকলকে দেখায়। পাশাপাশি মেয়েদেরকে নিজের প্রতি আকর্ষিত করার জন্য এই ভুয়ো পরিচয় পত্র ব্যবহার করতো সে।

অভিযুক্ত পড়ুয়ার বাবা আভয় কুমার কর জানান – তার ছেলে স্কুলে এন সিসি প্রশিক্ষণ নিত । এইভাবে নিজেকে ভুয়ো সেনা কর্মীর পরিচয় দিয়ে এই কাণ্ড করেছে তা তারা জানত না।

বিশেষ সংবাদদাতা: মলয় সিংহ, বাঁকুড়া