আন্তর্জাতিক

শ্বাসরোধেই মৃত্যু জর্জের, উত্তাল আমেরিকা

থামছে না বিক্ষোভ–অশান্তি। আর তা মাথা–গরম করে দিচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তাই হোয়াইট হাউজের সামনে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে কাঁদানে গ্যাস আর রবার বুলেট ছুঁড়ল পুলিশ। যদিও ঘটনাস্থলে থাকা রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানাচ্ছেন, ওই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণই ছিল। অভিযোগ, হাঁটুর চাপে ঘাড়ে এবং পিঠে সংকোচনের ফলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে আফ্রিকান–আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড। মিনিয়াপলিসের এক পুলিশ অফিসার নিরস্ত্র ফ্লয়েডকে মাটিতে ফেলে, হাঁটু দিয়ে ঘাড় চেপে ধরেন। আট মিনিটের উপর এভাবে হাঁটুর চাপে শ্বাসরোধে মৃত্যু হয় ফ্লয়েডের। অটোপসি রিপোর্টের উল্লেখ করে এই অভিযোগ করেছেন জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের আইনজীবী বেন ক্রাম্প।
আর আজ বিক্ষোভকারীদের দমন করতে গোটা দেশেই সেনা নামানোর হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অটোপসির চিকিৎসকের রিপোর্ট উল্লেখ করে ওই আইনজীবী জানান, ঘাড়ের উপর ক্রমাগত হাঁটুর চাপ পড়ায়, মস্তিষ্কে রক্ত যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। তার উপর পেছনে পুলিশ অফিসারের ভারী ওজনের কারণে শ্বাস নেওয়া জর্জের পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। পরিবারের পক্ষ থেকে আলাদা করে এই ময়নাতদন্ত করানো হয়েছিল। সরকারি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে এই রিপোর্টের যদিও মিল নেই।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের খুনের পর গোটা দেশে যেভাবে বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল, এবারের পরিস্থিতি ঠিক সেরকমই বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ অফিসার ডেরেক চৌভিনের হাঁটুর চাপে ফ্লয়েডের মৃত্যু হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে থার্ড–ডিগ্রি মার্ডার ছাড়াও নরহত্যার অভিযোগ দায়ের হয়। বাকি তিন অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ধারা দেওয়া হয়নি। জর্জের পরিবারের আইনজীবী জানান, বাকি তিন পুলিশ অফিসারকেও গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হয়েছে।