মগরাহাট পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থীর মৃতদেহ নিয়ে মিছিল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে যায় সেই মিছিল। সামনে থেকে সেই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনার বিরুদ্ধে এবার স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করল কালীঘাট থানা। অভিযুক্তের তালিকায় সুকান্ত মজুমদার –সহ একাধিক বিজেপি নেতার নাম রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পথ অবরোধ এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র বলেন, ‘তৃণমূলের হামলায় বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করায় বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অন্যায় কোনদিন জিততে পারে না।’ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমাকেও ধাক্কা মারা হয়েছে। ডিসি সাউথ ধাক্কা মেরেছেন। মামলা দিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না। পুলিশ এটা ভেবে থাকলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে।’
পাল্টা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘যেকোনও মৃত্যু দুঃখজনক। কিন্তু লাশ নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। বিজেপি যদি মনে করে লাশ নিয়ে ভবানীপুরে চলে আসবে। আর ভোটে জিতে যাবে তাহলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য কার্যালয়ে। সেখান থেকে মৃতদেহবাহী শকট নিয়ে কেওড়াতলা শ্মশানের উদ্দেশে যাত্রা করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। আচমকাই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তখন ঘটনাস্থলে ছিলেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং ও নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।