শোনা যাচ্ছে বন্দুকের গুলির শব্দ। এলাকা ঢেকে গিয়েছে ধোঁয়ায়। চারিদিকে পাথর, উল্টে পড়ে আছে গাড়ি। এলাকার চেহারা বলে দিচ্ছে, যেন যুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। সোমবার অসম–মিজোরাম সীমান্তে এই ছবি দেখা গিয়েছে। আসলে ৬ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলেছে দুই রাজ্যের পুলিশের। কোলাসিবে অসম–মিজোরাম সীমান্তে এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অসমের ছয় পুলিশকর্মীর। আহত হয়েছেন ৫০ জন।
অসম সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিল পুলিশ। কিন্তু মিজোরামের পুলিশই পাল্টা হামলা চালায়। সীমান্ত এলাকায় ইতিমধ্যেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে অসম। ওই এলাকায় অসমের রাস্তা ও জঙ্গল নষ্ট করার অভিযোগও তোলা হয়েছে মিজোরাম পুলিশের বিরুদ্ধে। আর মিজোরামের দাবি, অসম পুলিশ সিআরপিএফ পোস্ট অতিক্রম করে জোর করে তাদের রাজ্যে প্রবেশ করে। আলোচনায় রাজি নয় অসম। তাদের পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুঁড়েছে অসমই।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় আট কৃষকদের ঘর জ্বালিয়ে দেয় কিছু দুষ্কৃতী। তখনই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সীমান্তবর্তী ওই এলাকা।
মিজোরাম পুলিশের ডিআইজি লালবিয়াকথাঙ্গা খিয়াংলে জানান, ওই আট কৃষকদের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও সেখানে কেউ ছিলেন না। সেই ঘটনা ঘটে গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। এই ঘরগুলি অসমের সীমান্তবর্তী গ্রাম ভাইরেংলের কৃষকদের।
অভিযোগ, গত ১১ জুলাই মিজোরামের এক কৃষকের খেত, বাগানও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়েই অশান্তি শুরু হয়। সীমান্তের দিকে লাঠি নিয়ে ছুটে যায় দুই রাজ্যেরই কিছু লোক। এরপরই সীমান্ত পরিদর্শনে যাওয়া অসম সরকারের একটি টিমের গাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে সে দিন। আর তারপর থেকে জারি আছে অশান্তি।
You must be logged in to post a comment.