জেলা

মধ্যরাতে বোমাবাজি!‌ পুলিশের ওপর নামল আক্রমণ

মধ্যরাতে প্রবল বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল অশোকনগর। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকর্মীদের। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বারাসতে। দুটি গোষ্ঠীই সমাজবিরোধী হলেও একটির ওপর শাসক দলের হাত রয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর তাদের হাতেই মার খেয়ে হাসপাতালে শুয়ে থাকতে হচ্ছে পুলিশ কর্মীদের। এই ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অশোকনগর থানা ভুরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে দোগাছিয়া এলাকায় একদল দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হন চার পুলিশকর্মী। আহতরা হলেন এএসআই মৃনাল মণ্ডল, কনস্টেবল উজ্জ্বল বিশ্বাস, অমল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশের গাড়িরচালক কাবিল মণ্ডল। শনিবার রাতে এই ঘটনার জেরে তপ্ত হয়ে ওঠে অশোকনগর থানার ভুরকুন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দোগাছিয়া এলাকা। রাতে বোমা, গুলির শব্দে ঘুম উড়ে যায় বাসিন্দাদের। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে পুলিশকে ঘটনাস্থলে আসতে হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই রাতেই ডিএসপি রোহেদ শেখের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে। আহতদের মধ্যে কনস্টেবল অমল আচার্যের আঘাত গুরুতর। কপালে ৫টি সেলাই নিয়ে তিনি অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের অবস্থা মোটের ওপর ভাল। তবে এখনও তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঠিক কী ঘটেছিল?‌ অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শাজাহান মল্লিক অনুগামীরা পুলিশের উপরে হামলা চালায়। দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় সিরাজুল হক আটার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ শাজাহান মল্লিকের। আগেও একবার আটা পরিবারে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে সিরাজুলের বিরুদ্ধে। শনিবার ওই দুই পক্ষের মধ্যে রাস্তায় ইট রাখা নিয়ে একটি বচসা ও মারপিট ঘটনা ঘটে। তার পর থেকেই এলাকায় বোমা–গুলির শব্দে কান পাতা দায় হয়ে ওঠে। ঠিক
রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দোগাছিয়া যায় পুলিশ। তখনই পুলিশের ওপর ইট, বাঁশ নিয়ে চলে হামলা। জিপেও ভাঙচুর চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এরপর হাবড়া, অশোকনগর, দত্তপুকুর থানার পুলিশ বাহিনী এবং র‌্যাফ ঘটনাস্থলে আসে। বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।