দেশ ব্রেকিং নিউজ

পথ আটকে লাঠিপেটা পুলিশের

হাথরাসে হাতাহাতি। হ্যাঁ, সেখানে রাহুল গান্ধী–প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পৌঁছতেই যোগীর পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁদের উপর। ফলে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি থেকে পুলিশের লাঠিপেটা অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করল। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, ‘‌আমাকে লাঠিপেটা করে মাটিতে ফেলে দেয় পুলিশ।’‌ হাথরাস পৌঁছনোর আগেই প্রিয়াঙ্কা–রাহুলের পথ আটকাল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গ্রেটার নয়ডায় ঢুকতেই কনভয় আটকায় পুলিশ। ধ্বস্তাধস্তির সময় রাহুল গান্ধীকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিতে দেখা যায়।
উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি কংগ্রেস কর্মীদের। তবে তাতে দমে না গিয়ে পায়ে হেঁটেই হাথরাসের পথে যাত্রা শুরু করেছেন ভাই–বোন। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‌উন্নাওয়ের ঘটনার পরও এতটুকু বদলায়নি উত্তরপ্রদেশের।’‌ এদিন হাথরাসের সীমানাও সিল দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে যোগী সরকার। নয়ডার অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রণবিজয় সিং জানান, মহামারী আইনে রাহুল–প্রিয়াঙ্কাকে আটকে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের হাথরাস যেতে দেওয়া হবে না।
গণধর্ষণ হয়নি বলে দাবি করেছেন হাথরসের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত বীরের। তিনি জানান, আলিগড় হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্ট তাই বলছে। উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসের তরুণী নির্যাতনের শিকার হন। তাঁকে প্রথমে আলিগড়ের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে নিয়ে আসা হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। মঙ্গলবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। তরুণীর মৃত্যুর পরে অপরাধীদের দ্রুত ও কঠোরতম শাস্তির প্রতিবাদে মুখর গোটা দেশ।