উত্তরপাড়া ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো পুলিশের হাতে। এমনকী এই ডাকাতির পেছনে বিহার যোগ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। আর এই ডাকাতি করতে রীতিমতো পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তার জন্য যথেষ্ট কষ্টসাধ্যও করতে হয়েছিল ডাকাতকে। গোটা ঘটনা জানার পর পুলিশের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
লকডাউনে বিহার থেকে সাইকেল চালিয়ে রাজ্যে আসে মূল অভিযুক্ত। এরপর দল গড়ে ডাকাতি করার জন্য। পুরো পরিকল্পনা করেই উত্তরপাড়ার ব্যাঙ্ক ডাকাতি করা হয়। তবে একদিনের মধ্যেই কিনারা করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, লকডাউনের সময় বিহার থেকে সাইকেলে হুগলিতে আসে প্রীতম। তারপর দলবল জুটিয়ে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতি করে বলে অভিযোগ। প্রীতমের কাছ থেকে ১০ লাখ ৮ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার হয়।
পুলিশকে দেওয়া প্রীতমের পরিকল্পনার বয়ান অনুযায়ী, লকডাউনে কর্মী কম ছিল ব্যাঙ্কে। সেটা রেইকি করে দেখা হয়েছিল। আর সেই সুযোগই কাজে লাগিয়েছিল ডাকাতরা। শুক্রবার ভরদুপুরে উত্তরপাড়ার রাজেন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে ডাকাতি হয়। মোটরবাইকে এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে কর্মীদের বেঁধে রেখে ১৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৩২৫ টাকা লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। তদন্ত শুরু করে চন্দননগর থানার পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ কয়েকটি সূত্র পায়। তার মধ্যে একটা ছিল—দুষ্কৃতীরা মোটরবাইকে পালানোর সময়ে কয়েকটা টাকার বান্ডিল রাস্তায় ফেলে যায়। দুই— সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে প্রীতম ঘোষ ওরফে বাবাই মূল অভিযুক্ত। পেট্রোল পাম্প ডাকাতির ঘটনায় ২০১৪ সালে ওড়িশায় ধরা পড়েছিল সে। এমনকী জেল হয় তার। তারপর এখান থেকে বিহারে পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দেয়। লকডাউনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করতে গিয়ে সূত্র রেখে যায়। তাতেই ধরা পড়ে প্রীতম ঘোষ ওরফে বাবাইয়ের দল।
