রাতজুড়ে লাদাখ সীমান্তের আকাশে যুদ্ধবিমান চক্কর কাটার পর রবিবার সকালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে চিনের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা হয় বলে খবর। তবে এই বৈঠকের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে, ভারত কী তাহলে প্রত্যাঘাত করতে চলেছে? যদিও বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতি ভবনের টুইটার হ্যান্ডলে জানানো হয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নিয়েই দু’জনের কথা হয়েছে। আর এখান থেকেই প্রশ্নের জন্ম হয়।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। দু’দিন আগেই ঝটিকা সফরে লাদাখ যান প্রধানমন্ত্রী। ভারত–চিন সীমান্ত উত্তেজনার মাঝে লাদাখ সফরের পরই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সূত্রের খবর, রাতের অন্ধকারে আকাশ থেকে রেইকি করে নেওয়া হয়েছে। তারপর চিনের ওপর প্রত্যাঘাতের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই পরিকল্পনাই জানাতে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির কাছে।
রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও দু’জনের মধ্যে কথা হয়। ভারত সীমান্তে চিনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ এবং নেপালের বিতর্কিত মানচিত্র প্রণয়ন–সহ একাধিক ইস্যুতে তাঁদের আলোচনা হয়। তবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চিনের ওপর হবে কিনা তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় জওয়ানদের আত্মবলিদান বৃথা যেতে দেব না। তারপর এমন জরুরী বৈঠক ভাবাচ্ছে সবাইকে। যদিও অন্য একটি সূত্রে খবর, দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা হতে পারে। লকডাউনের ফলে মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সমসাময়িক যে পদক্ষেপগুলি নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।