কংগ্রেস বিতর্কিত কৃষি–বিল না মানার বিকল্প আইনি রাস্তা খুঁজে বের করতেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার তিনি জানান, কংগ্রেস পার্টির অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, বিজেপি সরকার যা কিছু ভাল করবে তার বিরোধিতা করা। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেই ইস্যুকে রীতিমতো কাজে লাগিয়েছে কংগ্রেস। এমনকী এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা এককাট্টা হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়ে তিনি এই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন উত্তরাখণ্ডে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি সংসদের অধিবেশনে কৃষক, শ্রমিক এবং স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত প্রচুর সংস্কার আনা হয়েছে। এই সংস্কার দেশের শ্রমিক, যুব সম্প্রদায়, মহিলা এবং কৃষকদের আরও দৃঢ় করবে। তবে দেশ এটাও দেখতে পাচ্ছে যে কীভাবে কিছু মানুষ শুধু বিরোধিতা করবে বলে এগুলির বিরোধিতা করছে। কৃষকরা যে যন্ত্রকে পুজো করে, সেগুলিকে পুড়িয়ে দিয়ে কৃষকদের অপমান করছেন তাঁরা।’ দিল্লির বুকে গতকাল ট্র্যাক্টর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় বেশ চাপে পড়েছে সরকার। তাই এই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এখানেই শেষ নয়। ইন্ডিয়া গেটে জ্বলন্ত ট্র্যাক্টরের ঘটনার পর বিরোধীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই সাঁড়াশি চাপে পড়ে প্রধানমন্ত্রী ফের বলেন, ‘কৃষকরা এখন তাঁদের ফসল যেখানে খুশি, যাঁকে খুশি বিক্রি করতে পারবেন। এই অধিকার যখন কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে তখন তার বিরোধিতা করা হচ্ছে। তারা চায় না কৃষকরা মুক্ত বাজারে শস্য বিক্রি করে ভাল থাকুক। বরং তারা চায় মধ্যস্বত্বভোগী। কৃষকদের এই স্বাধীনতার বিরোধী তারা।’
পরিস্থিতি যে সরকারের হাতের বাইরে যাচ্ছে তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই পুরনো কাসন্দি ঘাঁটার মতো সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ তুলে আনেন। বিরোধীরা প্রমাণ চেয়েছিল বলে এদিন কটাক্ষ করেন। তারপর রাজনৈতিক স্বার্থে বিরোধীরা রাম মন্দিরের বিরোধিতা করেছেন বলেও তাঁর দাবি। এমনকী দেশে যোগা দিবসের বিরোধিতা করা হয়েছিল বলে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন।
