আর একদিন পর শেষ হচ্ছে চতুর্থ দফার লকডাউন। পঞ্চম দফার লকডাউন নিয়ে এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু শনিবার দেশবাসীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিদারুণ দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন তিনি। লকডাউনের এতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর সরকারের দ্বিতীয় দফার বর্ষপূর্তির দিন কার্যত স্বীকার করলেন তিনি প্রকৃত সত্যটা। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে কলম ধরে তিনি লিখলেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকরা খুবই কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ক্ষুদ্র শিল্পের কর্মী, কারিগর, হকার–সহ আমার দেশের একাংশের মানুষ খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছেন৷ দেশের মানুষের কষ্ট লঘু করতে, সমস্যা সমাধানে আমরা এক জোট হয়ে কাজ করছি। আমার মধ্যে কিছু ঘাটতি থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের দেশের কোনও ঘাটতি নেই৷ আমার আপনাদের উপর বিশ্বাস আছে, আপনাদের ক্ষমতা এবং যোগ্যতা আমার চেয়ে অনেক বেশি৷’
তিনি চিঠিতে আরও জানান, অনেকে ভেবেছিলেন এই ভাইরাসের কারণে ভারত বিশ্বের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু আপনারা দেখিয়ে দিয়েছেন ভারত কারও বোঝা হয়ে দাঁড়ায়নি। করোনা মোকাবিলায় গোটা বিশ্ব লড়াই করছে। আর্থিক সংস্কারের ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেক ভারতবাসীর গাইডলাইন মেনে চলা দরকার৷ মানুষ এখনও পর্যন্ত ধৈর্য রেখেছেন, পরেও রাখবেন৷ আমি সেটা বিশ্বাস করি। ঠিক এই কারণেই ভারত আজ অনেক দেশের চেয়ে ভাল জায়গায় রয়েছে৷ আমরা জয়ের পথেই এগোচ্ছি৷’
তাঁর কথায়, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভারত৷ আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও গোটা বিশ্বের কাছে উদাহরণ হতে চলেছে ভারত৷ তবে বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী এতদিন পর সরকারের বর্ষপূর্তির দিনই কেন বেছে নিলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার জন্য? তাঁদের জন্য কি কোনও আর্থিক সহাযতার ব্যবস্থা করেছে সরকার?