ইচ্ছাশক্তির জোর থাকলে বয়স কোনও বিষয় নয়। করোনা মহামারীর মোকাবিলায় বারবার তা প্রমাণ হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সংসদ ভবনে আয়োজিত যুব উৎসবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর চিন্তাধারা চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেন তিনি। যেখানে নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানান প্রতিটি শব্দে। বিবেকানন্দের জন্মতিথিকে মাধ্যম করে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি নির্মাণে জোর দেয় নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি।’
স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভারতের সংসদ ভবনে জাতীয় যুব উৎসবের আয়োজন করেছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘ভারতের যুব শক্তি চাইলে যে সবকিছু করতে পারে অতীতে তার বহু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। আজ থেকে অনেক বছর আগে স্বামীজি আমাদের যে শিক্ষা দিয়ে গিয়েছিলেন আজও তা প্রাসঙ্গিক। করোনা মহামারীর মোকাবিলা করতে গিয়ে সেকথা বারবার প্রমাণ হয়েছে। তাই দেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ করব স্বামীজির চিন্তাধারা চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যক্তি গড়েছেন স্বামীজি। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে প্রেরণা জাগিয়ে আসছেন স্বামীজি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাস রাখেন তা খুবই স্পষ্ট। এদিন তিনি বলেন, ‘নাস্তিক সে, যে নিজের প্রতি ভরসা রাখে না।’ উন্নত প্রতিষ্ঠান দেশের উন্নত চিন্তাধারার জন্ম দেয়। স্বামীজির দর্শন দেশকে প্রেরণা জোগায়। আমরা আধার ভারতকে আগে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ পাচ্ছি। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। আত্মনির্ভর ভারত গড়তে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বারবার করে নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে আসার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি দেশের শাসক বদলের মাধ্যম। রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের প্রয়োজন। কারণ, তাহলেই সেখানে আসবে নতুন ধারণা। আগে রাজনীতিতে আসা মানেই সন্তান খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে ধরা হত। কিন্তু সেই ধারণা বদলাতে হবে। বদলে গিয়েছেও। এখন নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে। যুবরাজই দেশকে নেতৃত্ব দেবে।’
তবে এদিন তিনি আরও জানান, রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র এখনও রয়েছে। যা একেবারে প্রযোজ্য নয়। কী পাবেন তা না ভেবে, কী কাজ করবেন সেই লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতিতে আসুক নতুন প্রজন্ম। তা না হলে লোকতন্ত্র দুর্বল হয়ে যাবে। রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে যুবদের। ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
