ডানলপে জনসভার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুরুতেই বললেন, ‘বাংলা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। রেল, মেট্রো প্রকল্পে সুবিধা হবে বাংলার। সবকা বিকাশের বদলে তোষণের রাজনীতি চলছে বাংলায়। বাংলায় দেশভক্তির পরিবর্তে ভোটব্যাংকের রাজনীতি চলছে। এই তোষণের জন্যই বাঁধা দেওয়া হয় দুর্গাপুজোয়। আর বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত ‘বন্দে মাতরম’ ভবনের সংরক্ষণ করা হয় না। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সম্পত্তি, চাকচিক্য বাড়ছে। তোলাবাজ থাকলে, কাটমানি কালচার থাকলে, আইনের শাসন না থাকলে পরিবর্তন হবে না বাংলায়।’
সোমবার হুগলির সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে অভিযোগ শোনা গেল, এখানে বন্দে মাতরম ভবনের পর্যন্ত সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। আর এর পেছনে আছে গভীর রাজনীতি, তুষ্টিকরণ। বাংলায় মা দুর্গার পুজো করলে বাধা দেওয়া হয়। মা দুর্গার বিসর্জনে বাধা দেওয়া হয়। ভোট ব্যাংকের জন্য নিজের সংস্কৃতিকে বিসর্জন দেওয়া এই মানুষগুলোকে কেউ ক্ষমা করবে না। আমাদের সরকার এলে আপনারা আপনাদের রীতিনীতি নির্ভয়ে পালন করতে পারবেন।
তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলায় বাড়ি ভাড়া নিতে গেলেও কাটমানি লাগে। সিন্ডিকেটকে টাকা না দিলে তাও পাওয়া যাবে না। সরকারি একাধিক প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলা। পরিশ্রুত জলের থেকেও বঞ্চনা করা হয়েছে। এখানে শিল্পের কী অবস্থা তা সকলের জানা। বাংলায় আসল পরিবর্তন দরকার। তাই বিজেপিকে আনা দরকার।’
ডানলপ ময়দানের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, আমরা এমন এক সোনার বাংলা উপহার দিতে চাই, যেখানে সবার বিকাশ হবে, কারও তুষ্টিকরণ হবে না। যে বাংলার প্রকৃত উন্নয়ন হবে। আমরা আসল পরিবর্তন চাই। বাংলার মানুষ পরিবর্তন করার ব্যপারে মনস্থির করে ফেলেছে। আমি নিশ্চিত, আমরা বাংলার কৃষক–শ্রমিক এবং এখানকার যুবকদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দিতে পারব।’ তাঁর অভিযোগ, বাংলায় বিনিয়োগ করার লোকের অভাব নেই। কিন্তু এখানকার সরকার যে পরিবেশ তৈরি করেছে, যেভাবে সিন্ডিকেটের হাতে বাংলাকে তুলে দেওয়া হয়েছে, তাতেই কেউ আর উৎসাহ দেখাচ্ছে না।