প্রত্যেকদিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৯০২, মৃত্যু হয়েছে ১৭৮৩ জনের। পরিস্থিতি আয়ত্তে আসার এখনই কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে করোনা–যোদ্ধাদের মনোবল বাড়াতে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে কুর্নিশ জানালেন তাঁদের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এই সংকটে মানবতাকে জেতাতে পারব বলেই আমার বিশ্বাস। ক্রমাগত প্রচেষ্টার দ্বারা কীভাবে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হয়, তা আমাদের শিখিয়েছেন বুদ্ধ। কোনওভাবেই হাল না ছাড়ার কথা শিখিয়েছেন তিনি। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় তাঁর সেই শিক্ষা আমাদের মাথায় রাখা উচিত।’
তিনি জানান, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে করোনার মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁরা রোগীর সেবাযত্ন করছেন, চিকিৎসা করছেন, তাঁদের শ্রদ্ধা করা উচিত। এই পরিস্থিতিতে অনেকে দিনরাত এক করে দেশের রাস্তাঘাট পরিষ্কার করছেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখছেন, গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। ভগবান বুদ্ধ আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছেন। তবে করোনায় মৃত এবং করোনা–যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাতে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এই বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বুদ্ধ সংঘের সংঘরাজরা এতে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, গোটা বিশ্বের সব স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রার্থনা করুন। তাঁরা প্রত্যেকে যেন সুস্থ থাকে। বুদ্ধ হলেন সাধনা ও আত্ম উপলব্ধির প্রতীক। আমাদের প্রত্যেককেই তাঁর দেখানো পথে চলা উচিত। আমরা মানবজাতির হয়ে লড়াই করছি এবং করে চলব। এদিকে নেপালের লুম্বিনী, বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির, সারনাথের মূলগন্ধ কুটি বিহার, কুশিনগরের পরিনির্বাণ স্তূপ–সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের জনপ্রিয় বৌদ্ধ দর্শনীয় স্থানে এদিন বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। সেগুলির লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায়, ‘গোটা বিশ্বে সঙ্কটে পড়া ব্যক্তির দিকে সম্পূর্ণ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। যতটা সম্ভব সাহায্যের চেষ্টা করুন। বিশ্বের বহু দেশ এই বিপদে ভারতের সাহায্য চেয়েছে, আমরা যত দূর সম্ভব চেষ্টা করছি।’ বুদ্ধ পূর্ণিমায় গৌতম বুদ্ধের জন্মোৎসব পালন করা হয়। বৌদ্ধধর্ম মতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বৈশাখি পূর্ণিমার দিন তাঁর জন্ম, বোধিলাভ এবং প্রয়াণ হয়েছিল বলে একে ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ বলা হয়ে থাকে।
