নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমরিন্দর সিং। এমনকী রাজ্যের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকলেন না কেউ–ই। শুক্রবারই খবর মিলেছিল যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে থাকবেন না। তাঁর বদলে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন। কিন্তু শনিবার নবান্নের পক্ষ থেকে কেউ–ই উপস্থিত থাকলেন না। আর সেখানেই কেন্দ্রের বাজেটের বরাদ্দ অনুসারে হোক রাজ্যের বাজেট বলে নীতি আয়োগের বৈঠকে রাজ্যগুলিকে নয়া প্রস্তাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রথম থেকেই যোজনা কমিশন ভেঙে নীতি আয়োগ তৈরির বিরোধিতা করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও বলেন, ‘যোজনা কমিশন রেখেও নীতি আয়োগ তৈরি করা যেত।’ নীতি আয়োগ তৈরি হওয়ার পর প্রতি বছর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। কোভিড আবহে গত বছর এই বৈঠক হয়নি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্র–রাজ্যের সমন্বয়ের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের উন্নয়নের মূল ভিত্তিই হল কেন্দ্র–রাজ্যের সমন্বয়। দেশের উন্নতিতে সহযোগিতামূলক কাঠামো আমাদের প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র–রাজ্যের প্রতিযোগিতামূলক এবং সহযোগিতামূলক সমন্বয় বজায় রেখে চলা উচিত।’
কেন্দ্র–রাজ্যের সমন্বয়ের এই কথা বলে আসলে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ এখন বিজেপি নেতারা ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন বলে চিৎকার শুরু করেছেন। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই মন্তব্য সেই নেতাদের বক্তব্যতেই সিলমোহর দেওয়া হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাবকে ‘সংবিধান বিরোধী’ বলে তোপ দেগে দিল বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, রাজ্য এবং কেন্দ্রের বাজেটের বিষয় অনেক সময় আলাদা হয়। কেন্দ্রের আশায় বসে থাকলে রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, কেন্দ্রের এই প্রস্তাব মানা সম্ভব নয়। যে সমস্ত রাজ্য ভাল কাজ করছে, কেন্দ্রের উচিত বাজেট তৈরির আগে সেইসব রাজ্যগুলির পরামর্শ নেওয়া।
