বাংলাদেশ লিড নিউজ

গার্ড অফ অনারে বেজে উঠল ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা..’

দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে শুক্রবার ঢাকা পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২১ তোপধ্বনী দিয়ে মোদীকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সঙ্গে ব্যান্ডে বেজে ওঠে ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা…’। শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষ্যে সে দেশে গিয়েছেন মোদী। তার আগে মোদী বিবৃতিতে জানালেন, ‘‌আমি খুশি করোনা অতিমারির পর এটাই প্রথম বিদেশ সফর। বাংলাদেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও মানুষের সঙ্গে মিল রয়েছে ভারতের।’‌
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষ উজ্জাপন উপলক্ষ্যে এবার মোদীর ঢাকা সফর। করোনা সংক্রমণের জেরে দীর্ঘ ১ বছর বিদেশ সফরে যাননি প্রধানমন্ত্রী। গত বছর মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষ উজ্জাপনের সূচনাকালে তাঁর ঢাকা যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়। শুক্রবার বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষিকীর অনুষ্ঠান। মোদীর মন্তব্য, ‘‌বিগত শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা বঙ্গবন্ধু। তাঁর জীবন লক্ষাধিক মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ জানাব।’‌
এদিন বেলা সাড়ে ১০টার কিছু পরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিশেষ বিমান। বিমান থেকে বেরিয়েই হাতজোড় করে সবাইকে প্রণাম করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে তিনি সৌজন্য বিনিময় করেন। বিমানবন্দরেই প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পুজো দেবেন মোদী। এরপর যাবেন ওড়াকান্দি। সেখানে মতুয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন। মোদীর কথায়, ‘‌মতুয়া সমাজের সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষা করছি।’‌
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের মতুয়াদের সঙ্গে মোদীর এই সাক্ষাৎ নেহাত কাকতালীয় নয় বলে দাবি বিরোধী শিবিরের। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বাংলায় মতুয়ামহলে ধন্দ তৈরি হয়েছে। ওপার বাংলায় গিয়েও মোদী তাই পশ্চিমবঙ্গের ভোটের কাজটিও করে আসবেন বলেই মনে করছেন অনেকে।