বাংলাদেশ ব্রেকিং নিউজ

মোদীর মুখে জয় বাংলা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে দু’দিনের ঢাকা সফরে এসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর তিনি পরিদর্শক খাতায় নিজের অনুভূতি লিখলেন। নরেন্দ্র মোদীর মুখে শোনা গেল, জয় বাংলা। পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের ভূমিকার কথাও স্মরণ করালেন প্রধানমন্ত্রী।
এখানে তারিখ, পুরো নাম ও নিজের পদবি উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, আমি বাংলাদেশের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, যাঁদের গৌরবময় ত্যাগের বিনিময়ে জন্ম নিয়েছে এই দেশ। এখানে আসা প্রত্যেক দর্শনার্থী লাখো লাখো শহিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। তাঁরা মৃত্যুঞ্জয়ী। এদিকে সেই ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় থেকে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বিজেপি শুরু থেকে দাবি করে আসছে, জয় বাংলা বাংলাদেশের স্লোগান। মমতা কী উদ্দেশ্যে এটা বলছেন? তবে জয় বাংলায় অনড় থেকেছেন তৃণমূলনেত্রী। চলতি বিধানসভা ভোটের প্রচারপর্বে প্রতিটি সভাতে নেত্রীর কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে, জয় বাংলা। সেই জয় বাংলা বললেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন ঢাকার অনুষ্ঠানে ভাষণের সমাপ্তিতে মোদী বলেন, ‘‌এই পবিত্র সময়ে বাংলাদেশের সব নাগরিকদের শুভকামনা জানাচ্ছি। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দীর্ঘজীবী হোক। জয় বাংলা। জয় হিন্দ।’‌
নরেন্দ্র মোদী আরও লিখেছেন, তাঁদের বীরত্ব ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে এবং নীতি ধরে রাখতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। ভারতের জনগণের পক্ষে আমি প্রার্থনা করি, শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সত্য ও সাহসের অবিস্মরণীয় বিজয়ের কথা মনে করিয়ে দিতে চিরস্থায়ী হবে শিখা চিরন্তন। এর পর নিজের স্বাক্ষর দিয়ে ২৬.০৩.২০২১ জুড়ে দেন মোদী। তার লেখা কথাগুলির একটি ছবি সামাজিক মাধ্যম টুইটারে শেয়ার করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। এর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। পরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিদেশমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে কিছুক্ষণ বৈঠক করেন। সোনারগাঁও হোটেলে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ–সহ ১৪ দলীয় জোট এবং জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদরা।
এদিন মোদী জানান, বাংলাদেশ সোনার বাংলাই রবে। কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির পিতা’ বলে সম্বোধন করে মোদী ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের খণ্ডাংশও স্মরণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাষণ জোরালো কণ্ঠে উচ্চারণ করেন—বাংলাকে দাবিয়ে রাখতে পারে এমন কোনও শক্তি নাই। মোদী তাঁর বক্তব্যের শেষে বাংলায় বলেন, ‘‌বাংলাদেশ–ভারত মৈত্রী চিরজীবী হোক। জয় বাংলা।’‌