দেশ ব্রেকিং নিউজ

সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক

দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ শুরুর দিন চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আগামী ১১ জানুয়ারি সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’দফায় ভ্যাকসিনের দেশজোড়া মহড়ার পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, আগামী সোমবার বিকেলে ওই ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। শুক্রবার শেষ হল করোনা টিকার দ্বিতীয় দফার ড্রাই রান। আজই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন কিছুদিনের মধ্যে শুরু হবে করোনা টিকাকরণ।
গত ৩ জানুয়ারি সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনের সীমাবদ্ধ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই। ওই দুই টিকা কীভাবে বন্টন করা হবে ও বন্টনের জন্য রাজ্যগুলি কতটা প্রস্তুত তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে। সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে করোনা ভ্যাকসিন প্রথম পাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তার পরে তা দেওয়া হবে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ১ লাখ ৭০ হাজার ভ্যাকসিন প্রদানকারী ও ৩ লাখ ভ্যাকসিন টিমকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
ছাড়পত্র পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকও তৈরি বলে জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। সেই হিসেবেই ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে করোনার টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা যায়, প্রথম ধাপে যে এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও দু’কোটি প্রথমসারির কোভিড–যোদ্ধাকে টিকা দেওয়া হবে, তাঁদের কোভিশিল্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। প্রথম দফার টিকাকরণের জন্য ৪৮০ কোটি বরাদ্দও করা হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।
হর্ষবর্ধন আজ বলেন, ‘‌খুব কম সময়েই ভারত করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দিতে পারব। ড্রাই রানের মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষিত করে তোলা হচ্ছে। আরও অনেকেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’‌ মহারাষ্ট্রের এক মন্ত্রী দাবি করেছেন, টিকার দাম কেন্দ্রের তরফেই মিটিয়ে দেওয়া হোক। টিকার মহড়ায় কী ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে অথবা রাজ্যগুলির কী ধরনের চাহিদা রয়েছে, সে সব নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে কথা হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর।