আগামী সোমবার ২৭ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টানা ৪০ দিন তালাবন্দির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ মে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রের খবর, তার আগে ২৭ এপ্রিল, সোমবার, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবারের বৈঠকে কি রাজ্যগুলিতে লকডাউন শিথিল করা নিয়ে আলোচনা হবে? নাকি লকডাউন বর্ধিত করা হবে? তা অবশ্য কিছু খোলসা করে জানানো হয়নি।
৩ মে–র পর লকডাউনের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে রাজ্যের মতামত জেনে তারপর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে গোটা দেশকে ‘রেড’, ‘অরেঞ্জ’ ও ‘গ্রিন’ জোনে ভাগ করে বেশ কিছু জায়গায় শিল্প থেকে পরিষেবায় নানা ছাড় দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। আগামী ৩ মে পর্যন্ত ভারতে লকডাউন জারি থাকার কথা। এরপর লকডাউন বৃদ্ধি বা লঘু করার বিষয়ে এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী লকডাউন উঠে গেলেও এখনই বিমান পরিষেবা চালু হবার কোন ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। একই অবস্থা রেলের ক্ষেত্রেও। তাই ৩ মে–এর পর কিভাবে লকডাউন লঘু করা হবে সে বিষয়ে যে আলোচনা হবে তা বলাই যায়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ রাজ্য মনে করছে, ৩ মে–র পরেও লকডাউন তোলা উচিত হবে না। এমনকী লকডাউনের বিধিনিষেধ লঘু করাও চলবে না। তবে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে চিন্তায় ফেলেছে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিক, ছাত্রছাত্রী এবং চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে থাকা মানুষ। এমন অসহায় মানুষের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। কিন্তু ভিন রাজ্যে আটক থেকে তা সহ্য করা কঠিন। একই অবস্থা রাজস্থানের কোটার মতো এলাকায় পড়তে এসে আটকে পড়া ছাত্রছাত্রীদেরও। তাই এখন ভিন রাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর বন্দোবস্ত করা উচিত। তবে, এই মানুষদের প্রয়োজনে নিজেদের রাজ্যে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো যেতে পারে।
