দেশ ব্রেকিং নিউজ

ভ্যাকসিন নেবেন নরেন্দ্র মোদী

টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে ভয় রয়েছে। সেই ভয় কাটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, জনপ্রতিনিধিরা টিকা নিলে মানুষের মন থেকে টিকা নেওয়ার ভয় দূর হবে। তাই দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ কর্মসূচিতে ভ্যাকসিন নেবেন নরেন্দ্র মোদী। গত ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া। টিকাকরণ কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও ভ্যাকসিন নেবেন বলে খবর।
জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণের সময়ে ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং অন্যান্য রোগভোগ থাকা ব্যক্তিদের ওপরে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। তখনই মোদীকেও এই টিকা দেওয়া হবে। এমনকী তখন টিকা পেতে পারেন দেশের সব সাংসদ এবং সব রাজ্যের বিধায়কও। তৃতীয় পর্যায়ে পঞ্চাশের বেশি বয়স যাঁদের তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। চতুর্থ পর্যায়ে ৫০র নীচে যাদের বয়স তাদের টিকা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ৮ লক্ষেরও বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে। টিকা নেওয়ার পর ৬০০ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ১০ জনকে। প্রধানমন্ত্রী আগেই তাড়াহুড়ো না করার বার্তা দিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারা টিকা দেওয়া শুরু হওয়ার পরই ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, সবার মতো আপনাদেরও অপেক্ষা করতে হবে।’‌
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, টিকা নিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা গোটা বিশ্বের মধ্যে সব থেকে কম ভারতেই। টিকা নেওয়ার পর দেশে এখনও পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কোনও মৃত্যুর সঙ্গেই টিকা সম্পর্কিত নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড টপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকের দল বলেছেন, ‘আফ্রিকার নতুন জাত আসার আগে যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হন তাহলে তার শরীরে কাজ করবে অ্যান্টিবডি। কিন্তু তথ্য বলছে যে, নতুন জাতের সঙ্গে বাজারে আসা টিকাগুলি কম কার্যকরি।’‌