কেরল–তামিলনাড়ুর নির্বাচনের হতাশাজনক ফলাফলে প্রশ্নের মুখে মোদী ম্যাজিক। নামে পাঁচ রাজ্য হলেও আদতে বাংলা বিজয় ছিল নরেন্দ্র মোদীর সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আটকে গেল তাঁর জয়ের রথ। এবার কেরল–তামিলনাড়ু তো বটেই, তার থেকেও বেশি বাংলার ফলাফল নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী বাংলার প্রচারে রীতিমতো ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন। দফায় দফায় গিয়েছেন কেরলে। তামিলনাড়ুতে বিপুল শক্তি বাড়ানোর আশা দিয়েছেন দলকে। তিন রাজ্যে তিনিই ছিলেন দলের চালিকাশক্তি। কিন্তু ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, তিন রাজ্যেই মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। কেরলে বিজেপি শূন্য, তামিলনাড়ুতে ৩। আর বাংলায় ২০০ দূর অস্ত, ১০০ আসনের ধারে–কাছেই যেতে ব্যর্থ। কেরলে বামফ্রন্ট, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে–কংগ্রেসের জোট এবং বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিপুল জয় হয়েছে। পুদুচেরিতে এনআরসি জোট জয়ী হয়েছে, যেখানে বিজেপি অন্যতম শরিক। কিন্তু মোদীর ভূমিকা সেখানে নগণ্য। অসমে বিজেপির জয়ের কারিগর দলের নেতা ও মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সাংগঠনিক ক্ষমতা ও মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়ালের জনপ্রিয়তা। ফলে মোদীর জনমোহিনী শক্তি আর অবশিষ্ট নেই।
আগামী বছর গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু–কাশ্মীরে ভোট। ২০২১ সালে করোনা সঙ্কটের মোকাবিলায় রীতিমতো লেজেগোবরে মোদী সরকার। আর তার সঙ্গে এভাবে বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ুতে চরম পরাজয়। এখন কর্ণাটক ছাড়া দক্ষিণ ভারতে আর একটি রাজ্যেও বিজেপির শক্তি নেই। মধ্যভারতে শুধুই মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিম ভারতে গুজরাত ও গোয়া। উত্তর ভারতে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ। পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতে বিহার, অসম, ত্রিপুরা। সুতরাং বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ুর পর আগামী বছর ছয় রাজ্যে কী হতে চলেছে, তা ভেবে আতঙ্কিত দল।
