দেশ ব্রেকিং নিউজ

প্রপার্টি কার্ডের সূচনা প্রধানমন্ত্রীর

সম্পত্তি বিবাদ মেটাতে এবার নয়া কার্ড চালু করলেন নরেন্দ্র মোদীর সরকার। দেশকে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার ডাক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বামীত্ব যোজনার সূচনা করেছিলেন। আর এবার প্রপার্টি কার্ড চালু করলেন তিনি। অনেকটা আধারের মতো এই কার্ড। এটি চালু হলে গ্রামের কোনও মানুষ সম্পত্তি ও জমির মালিকানা থেকে বঞ্চিত হবেন না। রবিবার এই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বলা হয়েছে, গ্রামে গ্রামে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ ঘুচবে এই কার্ড চালু হয়ে গেলে! মোট ৬টি রাজ্যের ৭৬৩টি গ্রামের মানুষ আপাতত এই কার্ড পাবেন।
সরকারি সূত্রে খবর, যে রাজ্যগুলি এই কার্ড আপাতত পাচ্ছে সেগুলি হল—উত্তরপ্রদেশে ৩৪৬, হরিয়ানার ২২১, মহারাষ্ট্রের ১০০, মধ্যপ্রদেশের ৪৪, উত্তরাখণ্ডের ৫০ এবং কর্নাটকের দুটি গ্রামের মানুষ। পরবর্তী পর্যায়ে তা সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রপার্টি কার্ড দেশের প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। আজ ভার্চুয়াল ভাষণের মাধ্যমে এই কার্ড চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই ঘোষণার পরই ৭৬৩ গ্রামের অন্তত এক লাখ মানুষের মোবাইলে এসএমএস লিংক পৌঁছে যাবে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করে তাঁরা প্রপার্টি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তবে আপাতত মহারাষ্ট্রের ১০০টি গ্রামের মানুষকে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ মহারাষ্ট্র সরকার প্রপার্টি কার্ডের জন্য নামমাত্র ফি নেবে। উল্লেখ্য, ২৪ এপ্রিল জাতীয় পঞ্চায়েতিরাজ দিবসে স্বামীত্ব যোজনা প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মোদী। সেদিনই প্রপার্টি কার্ডের কথাও জানানো হয়।
এই কার্ড থাকলে গ্রামের মানুষ বহু সুবিধা পাবে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অথবা সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঝণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন গ্রামের মানুষ। নিজের সম্পত্তি বিক্রির সময় ঝামেলা পোহাতে হবে না। ৬টি রাজ্যে আপাতত যে সম্পত্তির কার্ড দেওয়া হবে সেগুলি পরস্পরের থেকে আলাদা। তবে বাকি রাজ্যগুলি এই প্রপার্টি কার্ড মেনে নেবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। কারণ এই কার্ডের পেছনে অন্য কোনও অভিসন্ধি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।