এবার শ্রম ইউনিয়ন এবং শিল্প মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের মধ্যে কাজের সময়, বার্ষিক ছুটি, পেনশন, পিএফ, অবসর গ্রহণ, বেতন, নিয়ে আলোচনা গতি পেয়েছে। কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে আসা একাধিক দাবি। সরকারি সূত্রে খবর, ২৪০টা ছুটিকে ৩০০টা করার যে দাবি উঠেছে, নয়া ওয়েজ কোডের আওতায় তা সবুজ সংকেত পেতে চলেছে।
গত এপ্রিল মাসেই এই নয়া ওয়েজ কোড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শ্রম মন্ত্রক করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে তা পিছিয়ে দেয়। জানা যাচ্ছে, জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকেই কার্যকর হতে পারে নয়া ওয়েজ কোড। এটা কার্যকর হলে বেতন কাঠামোয় বড় পরিবর্তন হবে। কর্মীদের টেক–হোম বেতন কমে যেতে পারে। এমনকী কাজের সময়, ওভারটাইম, বিরতি সময় ইত্যাদির মতো বিষয়েও বদল আসতে পারে।
সরকার ২৯টি শ্রম আইন সমন্বিত করে ৪টি নয়া ওয়েজ কোড প্রস্তুত করেছে।
১—শিল্প সম্পর্কিত কোড
২—ব্যবসায়িক সুরক্ষা সম্পর্কিত কোড
৩—স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষমতায় শর্ত সাপেক্ষ কোড
৪—সামাজিক সুরক্ষা কোড
জানা গিয়েছে, ওয়েজ কোড অ্যাক্ট, ২০১৯ অনুসারে কোনও কর্মচারীর মূল বেতন কোম্পানির (সিটিসি) ব্যয়ের ৫০% এর কম হতে পারে না। এখন অনেক সংস্থা বেসিক বেতন কমিয়ে দেয় এবং উপর থেকে আরও বেশি ভাতা দেয় যাতে সংস্থার উপর বোঝা কমে যায়।
ওয়েজ কোড অ্যাক্ট, ২০১৯ অনুযায়ী, কর্মীদের বেতন কাঠামো পুরোপুরি বদলে যাবে। কর্মীদের টেক–হোম বেতন হ্রাস পাবে। এতে কর্মীদের পিএফ বেড়ে যাব। পাশাপাশি গ্র্যাচুয়িটিও বাড়বে। বেতন এবং বোনাস সম্পর্কিত নিয়মগুলি পরিবর্তিত হবে এবং প্রতিটি শিল্প ও সেক্টরে কর্মরত কর্মচারীদের বেতনে সমতা থাকবে। যদি শ্রম কোডটি প্রয়োগ করা হয়, আপনার কাজের সময়গুলি ওভারটাইমের পরিবর্তনের নিয়মগুলিও পরিবর্তিত হবে। প্রতি পাঁচ ঘন্টা পরে তাকে ৩০ মিনিটের বিরতি দেওয়া বাধ্যতামূলক করার নিয়মও রয়েছে এতে।
You must be logged in to post a comment.