স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশ্বভারতী সফর নিয়ে চর্চা জারি রয়েছে। তারই মধ্যে নরেন্দ্র মোদী আগামী ২৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে ঠিক হয়েছিল। ব্রাত্য রাখা হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে উদ্দেশ্য করে কেষ্ট হুমকি দিতেই আমন্ত্রণপত্র চলে এল।
বিশ্বভারতীকে নিয়েও রাজনীতি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য বিশ্বভারতীর শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন উপাচার্য। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আমন্ত্রণে সাড়া দেবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
বঙ্গ সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গিয়েছিলেন বোলপুরে। প্রথমে উপাসনা গৃহ ঘুরে দেখেন তিনি। যোগ দেন সংগীত ভবনের অনুষ্ঠানে। এরপর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠকও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যা মোটেও ভালভাবে নেয়নি তৃণমূল–সহ অনেকেই।
উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্বভারতী দেশের সবথেকে পুরানো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতীকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এবং সংসদীয় আইন অনুযায়ী জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বোলপুরের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ‘বিজেপি’র লোক’ তকমা দিয়েছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন, বিশ্বভারতীতেও রাজনীতি হচ্ছে বলে। হুঁশিয়ারি দিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘এক পাগল ভিসি। ও যদি মনে করে যা খুশি তাই করব। তাহলে মানব না। এতদিন বিশ্বভারতী নিয়ে রাজনীতি করিনি। এবার করব।’ এসবের মাঝেই উপাচার্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
