দেশ ব্রেকিং নিউজ

মৃত্যুমিছিল রুখতে ব্যর্থ মোদী সরকার

শহরের শ্মশানগুলিতেও মৃতদেহ সৎকারের ভিড়। করোনা রোগীদের শেষকৃত্যের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের দাবি, অধিকাংশ দেহই বিশেষ প্লাস্টিক ব্যাগে বন্দি। অথচ সরকারি নথিতে শহর এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে কোভিডে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ ছাড়ায়নি। গুজরাতের রাজকোট, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এবং উত্তরপ্রদেশের আগ্রা—তিনটি শহরের এমন চমকে দেওয়া ছবি সম্প্রতি সামনে এনেছে মার্কিন সংবাদপত্র ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’। এই তিনটি রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তিন শহরের মাত্র দু’সপ্তাহ আগের তথ্য তুলে ধরে করোনায় মৃত্যু মিছিল রুখতে মোদী সরকারের ব্যর্থতাকে নিশানা করেছে তারা।
প্রথম ঢেউয়ের সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে মৃতের প্রকৃত তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। বছর ঘুরতে ঘুরতে সেই অভিযোগ ফিরে এল তাদের দল পরিচালিত সরকারের দিকেই। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে নিন্দার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। সিএনএন, দি গার্ডিয়ান, ডেইলি মেইল, দি ইকনমিস্টের মতো মার্কিন ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এই ইস্যুতে সরাসরি আঙুল তুলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে। বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটের সম্পাদকীয়তেও করোনা পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা মুছতে ব্যস্ত মোদী সরকারকে আক্রমণ করা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদপত্রের ওই খবরে প্রকাশ, শ্মশানের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ওই তিন শহরের সরকারি তথ্যের আকাশপাতাল ফারাক। সরকারি হিসেব বলছে, গত এপ্রিলের দ্বিতীয়ার্ধে রাজকোট এবং সংলগ্ন জেলায় করোনায় মারা গিয়েছেন মোট ২২০ জন। কোভিডে মৃতদের জন্য ওই শহরে নির্দিষ্ট সাতটি শ্মশান রয়েছে। তার মধ্যে একটি শ্মশানেই ৬৭৩টি করোনা রোগীর দেহ সৎকার হয়েছে।
ভোপালের ভাদভাদা শ্মশানের কর্মী মমতেশ শর্মাও কথা লেখা হয়েছে সেখানে। গত ১১ এপ্রিল থেকে করোনায় মৃতদেহ সৎকারের হিসেব লেখা রয়েছে তাঁর খাতায়। তাতে রোজ ৩৪ থেকে ১০০ মধ্যে ঘোরাফেরা করছে কোভিড রোগীর সংখ্যা। অথচ সরকারি নথিতে ওই সময়কালে কোনওদিনই করোনায় মৃত্যু ১০–এর উপরে ওঠেনি। তাজমহলের শহর আগ্রার ছবিও একই। উত্তরপ্রদেশের সরকারের শীর্ষ আধিকারিক নবনীত সেহগল অবশ্য অনলাইন পোর্টালে তথ্য আপলোডের ত্রুটির কথা বলেই দায় সেরেছেন।