দেশ

ভেস্তে যেতে পারে মমতা–মোদীর বৈঠক

আজ কলাইকুণ্ডার বিমানঘাটিতে মুখোমুখি হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–নরেন্দ্র মোদী। এমনই স্থির ছিল। কিন্তু সময় গড়াতেই তা ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবমা তৈরি হয়েছে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন ত্রাণের কাজে দল নয় প্রশাসনিক কাঠামোকে কাজে লাগাতে চাইছেন, তেমনই নরেন্দ্র মোদীও এই বৈঠকে রাখতে চাইছেন তাঁদেরই যারা দলের মুখ নন, কর্মসূত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। থাকতে পারেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, দেবশ্রী চৌধুরীরা। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল, থাকতে পারেন শুভেন্দু অধিকারীও। আর এই বিষয়টিতে আপত্তি আছে রাজ্যের।
এই বৈঠক নিয়েই এবার তৈরি হয়েছে জটিলতা। আদৌ কলাইকুণ্ডার বৈঠকে মমতা থাকবেন কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ দেখা দিয়েছে। ঘটনাপ্রবাহ এখানেই শেষ নয়, আজকের বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীও আমন্ত্রিত। শুভেন্দু এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী দলনেতার আসনে বসেননি। সদ্য নাম ঘোষণা হয়েছে মাত্র। এই বৈঠকে যদি তিনি থাকেন তবে তা নতুন রাজনৈতিক জল্পনার জন্ম দেবে। অবশ্য শুভেন্দু থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে কতটা উৎসাহী হন সেটাই দেখার।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকার কথা মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, বৈঠকে কারা থাকবেন সেই তালিকা দেখেই ‘বিরক্ত’ রাজ্য প্রশাসন। দেবশ্রী চৌধুরী এবং শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকে থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। রাজ্যের যুক্তি, শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে বিরোধী দলনেতা হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে পদে বসেননি। শুধুমাত্র নন্দীগ্রামের জয়ী বিধায়ক ছাড়া আর কিছুই নন তিনি। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে কেন থাকবেন তিনি? যদিও রাজ্যপাল বৈঠকে থাকলে আপত্তি নেই রাজ্যের। সূত্রের খবর, মোদীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে রাজি মুখ্যমন্ত্রী। তবে সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী কিংবা দেবশ্রী চৌধুরী থাকলে ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেবেন না বলেই স্থির করেছেন।