বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠতেই আসরে নেমেছেন রাজ্যপাল–কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার তাতে বাড়তি ইন্ধন জোগালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এবার সরাসরি খোঁজ নিলেন নাড্ডার। টেলিফোনে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, কেমন আছেন জেপি নাড্ডা? কেমন আছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়? ফোন করে জানতে চাইলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। আর তাতেই সরগরম হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি। কারণ এরপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপর বড় ধাক্কা আসতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
শুক্রবার সকালে দিল্লির পিএমও অফিস থেকে এই বিষয়ে কনফার্মেশনও মিলল। তবে ফোনে ঠিক কী কথা বলেছেন মোদী, তা প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী খোঁজ নেওয়ার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বাংলার মুখ্যসচিব ও ডিজি–কে তলব করা হয়েছে। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে এই বিষয়টি নিয়ে বেশ জলঘোলা করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আগের দিনই রাজ্যপাল জরুরী তলব করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। সেই রিপোর্ট দিল্লিতে মেইল করেন তিনি। তারপর বিষয়টি আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তলব করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
উল্লেখ্য, জেপি নাড্ডার কলকাতা সফরে তাঁর গাড়িতে ইট পড়েছে। হামলা হয়েছে কৈলাস–সহ অন্য বিজেপি নেতৃত্বের ওপরও। এই ভাঙচুর–মারধরের দায় নিয়ে তৃণমূল–বিজেপি চাপানউতোর চলছে চরমে। এই পরিস্থিতিতেই জানা গেল, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করলেন। ফোন করে তাঁর দলের কর্মী ও নেতৃত্বের কুশল সংবাদ নিলেন। আক্রান্ত হওয়ার পরে কেমন আছেন তাঁরা, জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী।
নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে সরাসরি রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশের দিকেই আঙুল তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। আর কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে তলব করল কেন্দ্রীয় সরকার। সাম্প্রতিককালে এমন ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। আর নাড্ডা ও কৈলাসকে প্রধানমন্ত্রীর ফোনও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই ঘটনা বাংলার নির্বাচনে প্রচার করা হবে বলেও সিদ্দান্ত নেওয়া হয়েছে।