রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবী বক্তব্য রাখতে গিয়েও বাংলার গণতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে কটাক্ষ করলেন বাংলার রাজনীতি নিয়ে। এমনকী, কেন্দ্রের কোনও প্রকল্প এই রাজ্যে কার্যকর করা হয়নি বলেও সংসদ থেকে অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের নাম করে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের সাফল্য নিয়েও বিরোধীতা করার অভিযোগ তুলে বিরোধীপক্ষের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
সোমবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে তীব্র কটাক্ষ করলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বক্তব্য রাখছিলেন। বলছিলেন, বাক– স্বাধীনতার কথা, গণতন্ত্র পদদলিত হওয়ার কথা। সুন্দর–সুন্দর শব্দের ব্যবহার করছিলেন তিনি। আমি তো বুঝতেই পারছিলাম না উনি দেশের কথা বলছেন, নাকি বাংলার কথা বলছেন। আসলে উনি নিজের রাজ্যে দিনভর এগুলো দেখতে পান, তাই হয়তো সে কথাই এখানে বলে ফেলেছেন। বাংলার রাজনীতির কারণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না এই রাজ্যের বাসিন্দারা।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, দেশে বিরোধিতার জন্য অনেক ইস্যু আছে। কিন্তু বিরোধীরা দেশের সাফল্য দেশের গর্ব নিয়েও সরকারকে কটাক্ষ করছেন। এতে আদতে দেশের মনোবল ভেঙে যায়। কিন্তু বিরোধীরা তো দেশের ভালো নিয়ে চিন্তিত নন, তারা সরকারকে অকর্মণ্য দেখাতে উদ্যত। বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ বয়কটের কথা তুলেও তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র নিয়ে বিরোধীরা অনেক কথা বলেন, কিন্তু দেশের মানুষ তা বিশ্বাস করেন না। ভারত শুধু বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্র নয়। গোটা বিশ্বের গণতন্ত্রের জননী ভারত।’
রাজ্যসভায় কংগ্রেসকে বিঁধে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত বছর ধরে কংগ্রেস দেশকে নিরাশ করেছে। আর ওই দলের সাংসদদের কথাও আমাকে হতাশ করে। বাজওয়া সাহেব অনেক কিছু বলছিলেন। আমি তো একবার ভাবলাম উনি জরুরি অবস্থার কথা বলবেন। কিন্তু উনি সেটা বললেন না। দেশের মতো আমিও নিরাশ হলাম। এটা নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর আদর্শ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। অথচ তাঁকে আমরা ভুলে গিয়েছি।’