তৃতীয় দফার ভোটের আগে হুগলির হরিপালের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সংস্কৃতিতে সবসময়ই সমৃদ্ধ। সবসময়ই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছে। ২ মে কী ফলাফল হবে, তা নন্দীগ্রামে নির্বাচনের দিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাংলায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে বিজেপি। প্রথম দু’দফার নির্বাচনেই রায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আসল পরিবর্তন চাইছে বাংলা।’
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, প্রথম দু’দফার নির্বাচনেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, তৃণমূলের খেলা শেষ। প্রথম দু’দফাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বাংলায় বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বিজেপি। আর মোদীর কটাক্ষ, খেলার মাঠে কেউ বারবার আম্পায়ারকে গালি দেওয়ার মানে, তাঁর খেলায় খুঁত আছে। তেমনই ভোটে যদি কেউ বারবার কমিশনকে তোপ দাগে, তাহলে বুঝতে হবে তাঁর খেলা শেষ। দিদি কখনও ইভিএমকে, কখনও কমিশনকে তোপ দাগছেন। আগামী ২ মে কী হতে চলেছে, তাঁর ইঙ্গিত নন্দীগ্রামে দেখতে পেয়েছি।
এরপরই তিনি বলেন, ‘দিদি, আপনার সামনে হার। আপনি এবার স্বীকার করে নিন। নির্বাচন খেলা নয়। গণতন্ত্র খেলা নয়। গণতন্ত্র হল মানুষের সেবার পথ।’ বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রচারের অন্যতম অস্ত্র বাঙালি স্বাভিমান। সেই স্বাভিমানে খোঁচা দিয়ে এদিন মোদী দাবি করেছেন, দিদি এখন বাংলার মানুষকে অপমান করছেন। দিদি বলছেন, বিজেপির সভায় যে ভিড় জমেছে, সেটা টাকার জন্য। আপনারাই বলুন আপনারা এখানে টাকার জন্য এসেছেন? বাংলার মানুষ বিক্রি হয় নাকি?
