দেশ ব্রেকিং নিউজ

‘‌কৃষি আইন স্থগিত রাখতে রাজি’‌

দশকের প্রথম বাজেটের আগের সর্বদল বৈঠকে দেশের আর্থিক স্থিতি, সংসদ অধিবেশনের গতিপ্রকৃতির মতো বিষয়ের থেকেও বেশি গুরুত্ব পেল কৃষি আইন। যে ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বাজেট অধিবেশনের আগের রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করে ফেলেছে শাসকদল। এবার বাজেটের আগের সর্বদল বৈঠকে কৃষি আইন ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের আশ্বস্ত করার সবরকম প্রচেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়ে দিলেন, কৃষকরা চাইলে এখনও তাঁর সরকার এই বিতর্কিত আইন সাময়িকভাবে স্থগিত করে রাখতে রাজি আছে। সুতরাং বাজেটের আগেই কেন্দ্র ব্যাকফুটে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
এবার দিল্লির তিন সীমান্তে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিতে আসছেন শিরোমনি অকালি দল ও ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের সদস্যরা। ফলে দিল্লি সীমান্তে ফের তৈরি হচ্ছে উত্তেজনা। একথা মাথায় রেখে দিল্লি সীমান্তে অস্থায়ীভাবে ইন্টারনেট সার্ভিস বাতিল করে দিল কেন্দ্র। যা নিয়ে শনিবার জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজধানীর বুকে। এদিন বিরোধী সাংসদদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‌আমরা কৃষকদের এই আইন স্থগিত রাখার যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তা এখনও আছে। আমার সরকার এখনও ১৮ মাসের জন্য এই আইন প্রত্যাহারে প্রস্তুত।’‌
সংবাদসংস্থা এএনআই–এর খবর অনুযায়ী, দিল্লির সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজিপুর ও তার সন্নিহিত এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ২৯ জানুয়ারি রাত ১১টা থেকে ৩১ তারিখ রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে টিকরি, সিঙ্ঘু, গাজিপুর, মুকারবা চক, নানগলি এলাকায় সাময়িকভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‌আমরা কৃষকদের এও বলেছি যে, আইন প্রত্যাহার ছাড়া বিকল্প কোনও প্রস্তাব থাকলে, আপনারাও সেই প্রস্তাব রাখতে পারেন।’‌ কিন্তু নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে একদিনের অনশন করছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। এই নিয়ে কৃষক আন্দোলনের নেতা দর্শন পাল বলেন, ‘‌কৃষকদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। শান্তিপূর্ণই থাকবে। ৩০ জানুয়ারি যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তা শান্তি ও অহিংসার বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই।’‌