দেশ ব্রেকিং নিউজ

প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আপত্তি নিয়ে রাজ্য

ফের সব রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এবার ইস্যুটা আলাদা। এখানে করোনা বা লকডাউনের প্রসঙ্গ থাকছে না বলেই খবর। জানা গিয়েছে, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির পৌরোহিত্যে সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবারের ওই বৈঠকটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই আয়োজিত হবে। অর্থাৎ কেন্দ্রের শিক্ষানীতি মেনে রাজ্যগুলিকে চলতে হবে বোঝাতেই এই উদ্যোগ। বাংলার তরফ থেকে আপত্তি থাকলেও এই বৈঠকে তারা থাকছে বলে খবর মিলেছে।
এই বৈঠকে আমন্ত্রিত কারা?‌ জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সমস্ত রাজ্যের রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রী, উপাচার্য এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের। এখানে বড় সমস্যা হল, বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক অহি–নকুল। এখন রাজ্যপাল রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য তুলে দিলে বিপাকে পড়তে পারেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সোমবার জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পর্কিত গভর্নর্স কনফারেন্সের উদ্বোধনী পর্বে ভাষণ দেবেন।
আরও খবর, উচ্চশিক্ষার রূপান্তরকরণের ক্ষেত্রে এনইপি–২০২০ ভূমিকা শীর্ষক সম্মেলনটি শিক্ষামন্ত্রকের উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে। সেখানে এনইপি–২০২০ একবিংশ শতাব্দীর প্রথম শিক্ষানীতি, যা ১৯৮৬ শিক্ষার উপর জাতীয় নীতি গৃহীত হওয়ার ৩৪ বছর পরে ফের নতুন নীতির ঘোষণা করা হয়েছে। এখানের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনইপি–২০২০ স্কুল এবং উচ্চশিক্ষা— উভয় স্তরেই বড় সংস্কারের সহায়ক হয়ে উঠবে। নতুন নীতিতে ভারত–কেন্দ্রিক শিক্ষা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্য ওই বৈঠকে অংশ নেবে। বৈঠকে যোগ দেবেন স্বয়ং পার্থবাবু এবং রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীষ জৈন। তবে এই আলোচনাসভায় শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষাসচিব যোগ দিলেও জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আপত্তির কথা আগেই জানিয়ে রেখেছে রাজ্য। শিক্ষা যৌথ তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই নীতি তৈরি করেছে।