দেশ লিড নিউজ

পিএম কেয়ারস নিয়ে শাসক–বিরোধী তরজা

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর দেখভাল করে পিএম কেয়ারস তহবিলের। ওই তহবিল পুরোপুরি সরকার নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু তাতে বেসরকারি উৎস থেকে অনুদান জমা হয় বলে তা আরটিআই বা তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় পড়ে না। এবার এই কথা স্পষ্ট জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।
এই বিষয়ে তৃণমূলের সংসদীয় দলের জাতীয় মুখপাত্র ও মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় পিএম কেয়ার্স তহবিল নিয়ে পাঁচ দফা প্রশ্ন তুলেছেন। ৩ দফা দাবিও জানানো হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তহবিলের গঠন, আয়–ব্যায়ের সূত্র ও পরিমাণ নিয়ে সিএজি তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পিএম কেয়ার্স তহবিলকে অ্যাটাচ করা হোক, নয়তো ট্রাস্ট ভেঙে সরকার সমস্ত টাকা বাজেয়াপ্ত করুক।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে এবং করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অনুদান সংগ্রহ করতে তৈরি হয়েছিল পিএম কেয়ারস তহবিল। এটি একটি কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত তহবিল। কিন্তু তহবিলের টাকা অন্য খাতে ব্যয় হচ্ছে বা তহবিলে বিপুল অর্থ তছরুপের অভিযোগ তুলেছিল বেশ কিছু বিরোধী দল এবং সংবাদমাধ্যম। যদিও অভিযোগের সমর্থনে কোনও প্রমাণ কেউ পেশ করতে পারেনি। তাই ওই তহবিলে কত টাকা আছে? কীভাবে তা এতদিন খরচ হচ্ছে? জনগণের অর্থের হিসেব কেন সরকার দেবে না? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন নিয়ে আরটিআই বা তথ্য জানার অধিকার আইনে প্রশ্নের উত্তর চেয়ে পাঠিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। জবাবে সরকার জানিয়েছে, ‘যেহেতু পিএম কেয়ার্সে নানা বেসরকারি উৎস থেকে অর্থ অনুদান হিসাবে আসে তাই এটি আরটিআইয়ের আওতাধীন নয়। আর তহবিল নিয়ে কোনওরকম জবাবদিহি করতেও সরকার বাধ্য নয়।’‌
সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেশের মানুষকে পিএম কেয়ার্স তহবিলের মেমোরেন্ডাম অফ ট্রাস্টের দলিলের নির্দিষ্ট অংশ সামনে আনুক, বলুক এটা বক কচ্ছপ না বকচ্ছপ? পিএম কেয়ার্স ফান্ড আরটিআই–এর আওতায় আসবে না কেন? মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, সরকারি কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে বার্ষিক আয় ব্যয়ের হিসেব দেবেন, আর প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন ট্রাস্ট দেবে না? ২৭ মার্চ তৈরি হওয়া ট্রাস্টের দলিল বলছে, এতে কোনও সরকার বা সরকারি সংস্থার বিনিয়োগ নেই। আবার ২৮ মার্চ কেন্দ্রের কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রক মেমো জারি করে বলছে, আইন অনুযায়ী এই তহবিলে সরকারি সংস্থা কল্যাণমূলক কাজে দান নিতে পারে। কোনটা ঠিক? প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।