বিতর্কের কাঁটা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না কেন্দ্রীয় সরকারের। কারণ বিপুল টাকা খরচ করে জালিয়ানওয়ালাবাগের সৌন্দর্যায়নে উদ্যোগী হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে ফোটো গ্যালারির সংস্কারের কাজ চলছে বলে খবর। সেটি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তার আগেই দেখা দিল বিতর্ক। জল গড়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত। এই খবরে এখন জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, জালিয়ানওয়ালাবাগের ওই ফোটো গ্যালারিতে স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং প্রথম শিখ ধর্মগুরু গুরু নানকের পোট্রেট আছে। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু তার পাশেই রাখা আছে দুই অর্ধনগ্ন মহিলার ছবি। এটা কী কারণে রাখা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অজন্তা এবং ইলোরার গুহাচিত্রের সঙ্গে এই ছবির মিল পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। জালিয়ানওয়ালাবাগে ফোটো গ্যালারিতে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের ছবির পাশে দুই অর্ধনগ্ন নারীর ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল।
এই জালিয়ানওয়ালাবাগ ন্যাশনাল মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভাপতি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। এই ঘটনায় সরাসরি তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। গ্যালারি থেকে অর্ধনগ্ন দুই নারীর ছবি সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছে তাঁরা। এটা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করার সামিল। গোটা দেশের মানুষের ভাবাবেগ যাতে জড়িয়ে আছে সেখানে এটা চরম আঘাত। জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতীয় স্মৃতি স্মারক। এখানে প্রত্যেক ভারতবাসী আসেন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানাতে। সেখানে কীভাবে অর্ধনগ্ন নারীর ছবি স্থান পেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইন্টারন্যাশনাল সর্ব কম্বোজ সমাজের সভাপতি ববি কম্বোজ। তিনি এই অবিলম্বে সেটি সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগের ব্যাপক সংস্কার কাজ চলছে। সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গোটা প্রকল্প রূয়ায়ণে তদারকির দায়িত্বে আছে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। ৩১ জুলাই গোটা কমপ্লেক্স সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়ার কথা। তার আগেই উঠল বিতর্ক।