আজ, শনিবার বাণিজ্যনগরীতে একেবারে সেঞ্চুরি হাঁকাল পেট্রোলের মূল্য। প্রতি লিটারে ২৫ পয়সা বৃদ্ধি পাওয়ায় একশোর গণ্ডি পেরিয়ে রেকর্ড গড়ল মুম্বইয়ের জ্বালানির দাম। তার রেশ গোটা দেশে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জ্বালানির দাম বাড়লে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বাড়বে। এখন গোটা দেশজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তার জেরে চলছে নানা রাজ্যে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে জ্বালানির দাম বাড়লে নাভিশ্বাস উঠবে সাধারণ মানুষের।
নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুটিনে পরিণত হয়েছে। নিয়মিত বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। আজ মুম্বইয়ে এক লিটার পেট্রোল মিলছে ১০০.১৯ টাকায়। ইতিপূর্বেই রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগর এবং মধ্যপ্রদেশের ভোপালে পেট্রোলের দাম একশো পার করেছে। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন মুম্বই। সেখানে আজ লিটারপিছু ডিজেলের মূল্য ৯২.১৭ টাকা। মুম্বইয়ের পাশাপাশি দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতার মতো মহানগরগুলিতেও ১০০–র গণ্ডির দিকেই এগোচ্ছে জ্বালানির দাম।
দিল্লিতে এদিন প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য বেড়ে হল ৯৩.৯৪ এবং ৮৪.৮৯ টাকা। কলকাতাতেও ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির মূল্য। তিলোত্তমায় লিটারপিছু পেট্রোলের দাম বেড়ে হল ৯৩.৯৭ টাকা। ডিজেলের মূল্য ৮৭.৭৪ টাকা। চেন্নাইয়ে আজ এক লিটার পেট্রোল ও ডিজেল কিনতে খরচ ৯৫.৫১ এবং ৮৯.৬৫ টাকা। গত ২৭ মে জয়পুরে পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি করেছিল। সেখানে আরও বাড়ল জ্বালানির মূল্য।
জ্বালানি তেলের উপর আলাদা আলাদাভাবে শুল্ক বসায় কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি কেন্দ্রের বসানো অন্তঃশুল্ক ও কর। করোনার প্রথম ধাক্কা আসার পরপরই কেন্দ্র জ্বালানি তেলের উপর অন্তঃশুল্ক অনেকটা বাড়িয়েছিল। বরং কিছু কিছু রাজ্য সরকার নিজেদের মতো পদক্ষেপ করেছে জ্বালানির দাম কমানোর জন্য। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ খুব একটা হয়নি।