জেলা

নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে মানুষজনকে

আমফান ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে ক্যানিং, সুন্দরবন, গোসবা, বাসন্তী, ঝড়খালি–সহ উপকূলজুড়ে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত সর্তকতা। ইতিমধ্যে মানুষজনকে সরানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে। অধিকাংশকে নিরাপদ স্থানে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ফুলে উঠছে প্রত্যেকটি নদীর জল। দুশ্চিন্তা আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সুন্দরবন তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েক লক্ষ মানুষ।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, সুন্দরবন তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকাতে তাণ্ডব চালাবে সুপার সাইক্লোন আমফান। সুন্দরবনের ক্যানিং মহকুমার কুমিরমারি, মোল্লাখালি, সাতজেলিয়া, ঝড়খালি, এবং গোসবা–সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সরানো হয়েছে বহু মানুষকে।
এই সমস্ত মানুষদের সরিয়ে কোথাও রাখা হয়েছে বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে তো আবার কোথাও বড় বড় স্কুল বাড়িতে। তবে সেখানে থাকার পরও আতঙ্ক কাটছে না এইসব মানুষদের মধ্যে। কারণ ইতিমধ্যেই সাগরের জল ১৫ থেকে ১৮ ফিট উচ্চতায় ঢেউ হতে পারে এই আশঙ্কা করছে সকলেই।
যে সমস্ত এলাকাগুলিতে দুর্গত মানুষদের রাখা হচ্ছে সেই বাড়িগুলিতে ইতিমধ্যেই স্যানিটেশনের কাজ করা হয়েছে। বহু ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে করেন টাইম সেন্টার করা হয়েছিল ভিন রাজ্য থেকে আসা মানুষদেরকে। বহু এলাকায় রান্না করা খাবার সরবরাহ করতে শুরু করেছে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত।
জানা গিয়েছে, সবেমাত্র নদীতে কোটাল মুখ শুরু হওয়ায় ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস দেখা দিচ্ছে নদীগুলিতে। আর তার ফলে বহু নদী বাঁধের ধ্বস নামতে শুরু করে দিয়েছে। মঙ্গলবার বিভিন্ন নদীতে যে পরিমাণ জল বেড়েছে তাতে বড় দুর্যোগের আশঙ্কা করছে সুন্দরবনবাসীও।